জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তান আর কোনও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেনি বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। গোলাবর্ষণের ফলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওমরের কথায়, ‘‘জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা নিরাপত্তা সংস্থা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাহায্যে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তৈরি করছেন। পুরো হিসাব তৈরি হলে আমরা ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব তৈরি করব। আমাদের তহবিল থেকে যত দূর সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে কেন্দ্রীয় সাহায্যও প্রয়োজন।’’
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বিশ্বের কয়েকটি রাজধানীতে সর্বদলীয় প্রতিনিধিমণ্ডলী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন ওমর। পহেলগাম হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ফলে কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসা বড় ধাক্কা খেয়েছে বলেও মত ওমরের। তাঁর কথায়, ‘‘পর্যটন বড় ধাক্কা খেয়েছে। গ্রীষ্মেই কাশ্মীরে বেশি পর্যটক আসেন। কিন্তু এ বার সেই সময়েই পর্যটকদের সংখ্যা খুব বেশি কমে গিয়েছে।’’
ওমর জানান, আসন্ন অমরনাথ যাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করাই এখন সরকারের মূল উদ্দেশ্য। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি পুঞ্চ, রাজৌরি ও উরির মতো এলাকা। ওমরের কথায়, ‘‘আপাতত বিপদ কাটলেও আমরা সীমান্তের এলাকাগুলিকে রক্ষার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঘরবাড়ি, প্রাণিসম্পদ ও পরিকাঠামোর বড় মাপের ক্ষতি হয়েছে। আমরা এই ক্ষতিপূরণের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করছি।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)