ফাইল চিত্র।
প্রভু ভোগ পাচ্ছেন। কিন্তু প্রসাদ জুটছে না ভক্তদের জন্য। তাতে কী জগন্নাথ স্বয়ং খুশি হতে পারেন! এ ভাবেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভোগ রাঁধতে অপারগ সেবায়েতদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন মুখ্য প্রশাসক প্রদীপকুমার জেনা। বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরে হাইকোর্টে মন্দিরের গর্ভগৃহে সেবায়েতদের ঢোকার কড়াকড়ি খানিক ঢিলে করারও আর্জি জানায় ওডিশা সরকার। শীঘ্রই প্রসাদ রান্না-সংক্রান্ত অচলাবস্থা কাটবে বলে আশা করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এ দিন রাতে প্রদীপবাবু আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘আমরা বলেছি, কখন ক’জন সেবায়েতকে গর্ভগৃহে ঢুকতে দেওয়া যাবে তা মন্দির প্রশাসনকে ঠিক করার অনুমতি দেওয়া হোক।’’ এর আগে হাইকোর্ট বলে, মন্দিরে যখন যার পালা, সেই সেবায়েতরাই গর্ভগৃহে ঢুকতে পারবেন। তাতে ক্ষিপ্ত হন সেবায়েতরা। মুখ্য প্রশাসকেরও মত, ‘‘বেশি কড়াকড়িতে মন্দিরের কাজে অসুবিধে হচ্ছিল।’’ গত সোমবার হাইকোর্টের নিয়ম মানতে গিয়ে পুজোয় দেরি হওয়ার অভিযোগ ওঠে। জগন্নাথকে নিবেদন করা যায়নি বলে বিপুল ভোগ নষ্টও হয়। সেই ভোগ বিক্রি না-করতে পেরেই রাগে ভক্তদের জন্য ভোগ রান্না বন্ধ করে দেন সেবায়েতদের একাংশ। প্রশাসনের এ দিনের ভূমিকায় তাঁরা খুশি।
প্রদীপবাবুর আশা, আজ, শুক্রবার থেকেই জগন্নাথ মন্দিরের ভোগ বিক্রয়স্থল আনন্দবাজার প্রসাদের গন্ধে ফের ম-ম করবে। ভোগ রাঁধতে বেঁকে বসা সেবায়েতরা এখন নরম হয়েছেন বলে তিনি মনে করছেন। জগন্নাথের প্রসাদ রান্নার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেবায়েতদের তরফেও, বরফ গলার সঙ্কেত মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy