সাত সাগরের পার থেকে কালো টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলবে। কিন্তু দেশের মাটিতেও লুকিয়ে রাখা কালো টাকা খুঁড়ে বার করতে হবে। তেমনটাই চাইছেন নরেন্দ্র মোদী-অরুণ জেটলি। আয়কর দফতরকে জেটলির নির্দেশ, সমস্ত শীর্ষকর্তা যেন কালো টাকা উদ্ধারকেই পাখির চোখ করেন। কারণ বিদেশি ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালো টাকার মতো, দেশে থাকা কালো টাকার পরিমাণও কম নয়।
লোকসভা ভোটের প্রচার শুরুর আগে থেকেই কালো টাকা উদ্ধারে জেহাদ ঘোষণা করে বিজেপি। সরকার গঠনের পরে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সুইৎজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখেন। সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত কালো টাকা উদ্ধারে সাহায্য চান তিনি। বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধারে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম বি শাহের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-ও তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে আজ সারা দেশের আয়কর দফতরের পদস্থ কর্তাদের সভায় জেটলি কালো টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্র বিদেশ থেকে কালো টাকা ফেরাতে সব রকম চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশে কালো টাকা উদ্ধারে আয়কর অফিসারদের একই রকম চেষ্টা করতে হবে। এর পরিমাণটাও যথেষ্ট বড়।”
আয়কর কর্তারা মনে করছেন, নতুন সরকার তাঁদের শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এক দিকে কালো টাকা উদ্ধারের নির্দেশ, অন্য দিকে বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যপূরণে কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন জেটলি। চলতি বছরে প্রত্যক্ষ কর বাবদ ৭,৩৬,২২১ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য নিয়েছেন জেটলি। আজ আয়কর কর্তাদের সম্মেলনে তিনি নিজেই বলেন, “অফিসারদের কাজটা খুব কঠিন। তাঁদের কর আদায়ের লক্ষ্য পূরণ করতে হয়, অন্য দিকে আয়করদাতাদের কর মেটানোর সুবন্দোবস্ত করতে হয়।”