ছবি: সংগৃহীত।
খবরের কেন্দ্রে আজ শশিকলা নটরাজন। কিন্তু হিসেব বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তির এই মামলায় এক নম্বর অভিযুক্তের নাম অবশ্যই জয়ললিতা। জয়ললিতা বেঁচে নেই। সব শাস্তির ঊর্ধ্বে চলে গেছেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়ে পরিষ্কার, বেঁচে থাকলে তাঁকেও হয়ত যেতে হত জেলে। জয়া, শশি-সহ চার জনের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতের দেওয়া শাস্তির রায়কেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। চার বছর করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল চার জনের বিরুদ্ধেই। এ ছাড়া জরিমানা হয়েছিল জয়ললিতার ১০০ কোটি টাকা, শশিকলা-সহ বাকি তিন জনের ১০ কোটি করে। ২২ দিন জেল খাটার পর, নিম্ন আদালতের এই রায় খারিজ করে জয়াদের বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। কর্নাটক হাইকোর্টের সেই নির্দেশ এ দিন খারিজ করে দিয়ে, নিম্ন আদালতের সম্পূর্ণ রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। জয়ললিতা যেহেতু বেঁচে নেই, তাই তাঁকে শাস্তি দেওয়ার আর কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ জানাচ্ছেন, জয়া বেঁচে থাকলে তাঁরও একই ভাবে শাস্তি হত।
কিন্তু যে আর্থিক জরিমানা হয়েছিল তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর, তা কি জয়ার রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে আদায় করা হবে? এ প্রশ্ন উঠে আসছে। অরুণাভ ঘোষ বলেন, ‘‘জরিমানার ১০০ কোটি টাকা তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেই আদায় করা যাবে। যদি, তাঁর ওই পরিমাণ সম্পত্তি থেকে থাকে। অথবা তাঁর কোনও উত্তরাধিকারীকে ওই সম্পত্তি পেতে গেলে ১০০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে আদালতে।’’
আরও পড়ুন
শশিজীবনের উত্থানকাহিনি: ভিডিও পার্লারের ব্যবসা থেকে জয়ার ক্ষমতাবৃত্ত
তবে আজকের রায়ে সরাসরি জয়ললিতার বিরুদ্ধে বেশ কিছু কড়া বক্তব্য শুনিয়েছে শীর্ষ আদালত। আদালত বলেছে:
• জয়ললিতা, শশিকলা এবং বাকি দু’জন এই ষড়যন্ত্রে অংশ নেন। এক জন জনপ্রতিনিধি হিসেবে জয়ললিতা হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির দখল নেন এবং বাকি তিনজনের সঙ্গে তা ভাগ করে নেন।
জীবিত থাকলে শশিকলার মতোই কি পরিণতি হত জয়ললিতার? ছবি: সংগৃহীত।
• জয়ললিতার অ্যাকাউন্ট থেকে শশিকলার অ্যাকাউন্টে যে ভাবে টাকা গেছে তাতে পরিষ্কার, চার অভিযুক্ত এক সঙ্গে মিলেই কাজ করেছেন।
• ব্যক্তিগত স্বার্থে জয়ললিতার অসত্ পথে সম্পত্তি আদায় এবং সম্পত্তি কেনার চক্রান্তে শশিকলা, সুধাকরণ এবং ইলাবরসি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন
আরও পড়ুন
রিসর্ট থেকে পালিয়ে শিবির বদল দু’জনের, দ্রুত ধস নামবে, বলছেন পনীররা
• বিক্রেতাদের চাপ দিয়ে সব অভিযুক্তই বাজারদরের থেকে কমে সম্পত্তি কিনেছেন। জয়ললিতার বাড়িতে এই সব সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এবং আইন ভেঙে সেখানেই সরকারি কর্মীরা সেল ডিড তৈরি করে দিয়েছেন।
• তাঁর পোয়েজ গার্ডেনের বাড়ি থেকে যে ১২টি কোম্পানি চালানো হত, জয়ললিতা তা জানতেন না বলেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy