Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
news on nitish kumar

চাপের খেলা শুরু! বিহারে ৬০% আসন চায় জেডিইউ

বিহারে লোকসভা আসন মোট ৪০টি। গত নির্বাচনে সেই ৪০টির ভিতরে বিজেপি একক ভাবে পেয়েছিল ২২টি। জেডিইউ পেয়েছিল ২টি আসন। যদিও তখন নীতীশ কুমারের জেডিইউ এনডিএ-র জোটসঙ্গী ছিল না।

সুশীল মোদী এবং নীতীশ কুমার।—ফাইল চিত্র।

সুশীল মোদী এবং নীতীশ কুমার।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৮ ১৬:১৭
Share: Save:

কেন্দ্রে এনডিএ সরকারের চার বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের আর মাত্র তিন দিন বাকি। তার আগে আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য কোমর বেঁধে তৈরি হচ্ছে এনডিএ-র অন্য জোটসঙ্গীরা। বিহারে সেই উদ্যোগ যেন বড় বেশি করেই চোখে পড়ছে।

বিহারে লোকসভা আসন মোট ৪০টি। গত নির্বাচনে সেই ৪০টির ভিতরে বিজেপি একক ভাবে পেয়েছিল ২২টি। জেডিইউ পেয়েছিল ২টি আসন। যদিও তখন নীতীশ কুমারের জেডিইউ এনডিএ-র জোটসঙ্গী ছিল না। এ বার ৪০-এর মধ্যে এনডিএ-র জোট শরিকরা কে ক’টা আসনে প্রার্থী দেবে,তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তাদের মধ্যে দর কষাকষি শুরু হয়ে গিয়েছে।জেডিইউ যেমন ৪০ আসনের মধ্যে ২৫টা আসন চাই বলে ‌দাবি জানিয়েছে। রবিবার পটনায় নীতীশের বাসভবনে দলের কোর কমিটির বৈঠকের পর জেডিইউ নেতা পবন বর্মা এই আসন ভাগাভাগির ইঙ্গিত দেন। দলের জাতীয় সম্পাদক কে সি ত্যাগীও রবিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বিহারে এনডিএ-র মুখ অবশ্যই নীতীশ। সে কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী।’’ তাঁর কথায়,‘‘গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির চেয়ে জেডিইউ বেশি আসন পেয়েছে।তাই লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ২৫টা আসনে লড়তে চায় জেডিইউ।’’

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গত সপ্তাহে উপনির্বাচনের ফল ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি বিহারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-ও পেতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই শরিকদের দর কষাকষি শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভুল করেননি, নাগপুর বিতর্কে প্রণবের পাশে শিন্ডে

কিন্তু, আগামী লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-র মুখ কে? বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদী বলেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বিহারের নেতা তো নীতীশ কুমার।এতে কোনও বিরোধ নেই। বিহারে যে নির্বাচন হবে, তা নরেন্দ্র মোদীর নামে যেমন হবে, নীতীশ কুমারের নামেও হবে।’’ সুশীলের মত, বিজেপি ও জেডিইউ-র মধ্যে কোনও বিবাদ নেই। মনের মিল হলে আসন ভাগাভাগিটা আদতে কোনও ব্যাপারই না। গত লোকসভা নির্বাচনে ৪০টা আসনের মধ্যে জেডিইউ মাত্র ২টি। সেই ফল মাথায় রেখে জেডিইউ-কে কিছুতেই নেতৃত্বের আসনে বসাতে চাইছে না বিজেপি। স্বাভাবিক ভাবেই নীতীশকে চাপে রাখতে চাইছে তারা।

আরও পড়ুন: শরিক-মান ভাঙাতে আসরে মোদী-অমিত

অন্য দিকে, আসন সংখ্যা বাড়াতে মরিয়া জেডিইউ। পরস্পরের উপর চাপ তৈরি করতে ব্যস্ত দু’টি দলই। রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র অজয় আলোক যদিও বলেন, ‘‘আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনওরকম সংশয় নেই। এনডিএ-তে বর্তমানে আরও সহযোগী দল রয়েছে। আসন বণ্টন নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা শীর্ষ নেতৃত্বই নেবেন।’’ তবে বিশেষজ্ঞদের চোখ এখন আগামী ৭ জুনের ‘সেলিব্রেশন পার্টি’-র দিকে। নীতীশ ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার। এ ছাড়াও লোক জনশক্তি পার্টির তরফে রামবিলাস পাসোয়ান এবং রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির তরফে উপেন্দ্র কুশওয়াহাও হাজির থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন রামবিলাস। ‘সেলিব্রেশন পার্টি’-তে জোটসঙ্গীদের মধ্যে কার কণ্ঠস্বর জোরালো হয়, সেটাই হয়তো ঠিক করে দেবে বিহারে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জোটসঙ্গীদের সমীকরণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE