রাজীব রঞ্জন সিংহ। ছবি: পিটিআই।
কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তারা থাকবে না বলে জানিয়ে দিল জেডি(ইউ)। আগামী ৩০ তারিখ শ্রীনগরে ওই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। তাতে যোগ দেওয়ার জন্য ২১টি অ-বিজেপি দলের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের আমন্ত্রণ গিয়েছে জেডি(ইউ)-এর জাতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিংহের কাছেও।
জেডি(ইউ)-এর শীর্ষনেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের তরফে ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্য কামনা করে আজ রাজীব আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘এই ঐতিহাসিক কর্মসূচিতে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা হয়ে উঠছে না। নাগাল্যান্ডে ভোটের জন্য ওখায় প্রচার শুরু হচ্ছে ওই দিনই। সেখানে থাকতে হবে।’’
রঞ্জনের বক্তব্য, মানুষের মন এবং উদ্বেগের জায়গাগুলি প্রত্যক্ষ ভাবে বোঝার জন্য ভারত জোড়ো যাত্রা একটা মস্ত পরিসর। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যৌথ রণকৌশল সাজানোর ক্ষেত্রে এর সুদূরপ্রসারী ফল মিলবে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দল ঐকান্তিক ভাবে মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে একটা এককাট্টা বিরোধীপক্ষের দরকার এবং কংগ্রেস সেই লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ করবে।’’
বিহার কংগ্রেসের মুখপাত্র অসিতনাথ তিওয়ারি বলেছেন, ‘‘যে চিন্তাধারা এক সময়ে দেশটাকে ভাগ করেছিল, আমাদের যাত্রা তারই বিরুদ্ধে। যারা দেশ ভাঙার রাজনীতি করে, তাদের বিরুদ্ধে এই যাত্রা। দেশকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের সবার এতে সামিল হওয়া উচিত।’’
ভারত জোড়ো যাত্রা উত্তরপ্রদেশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে জেডি(ইউ)-এর সেই রাজ্যের শাখা তার থেকে স্পষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে। বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলা প্রসঙ্গে এই যাত্রার বিষয়ে প্রায়ই অনাগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন নীতীশ কুমারও। বিহারে জেডি(ইউ)-এর বর্তমান জোট সরকারে কংগ্রেস শরিক। তবে নীতীশ স্পষ্টতই তৃতীয় ফ্রন্টের ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy