বেতন মেটানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি জেট এয়ারওয়েজের পাইলটদের।
বকেয়া বেতন না পেলে এপ্রিল থেকে বিমান চালাবেন না বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত জেট এয়ারওয়েজের পাইলটেরা। ইতিমধ্যে ১০০ জনেরও বেশি পাইলট অন্য সংস্থায় চলে গিয়েছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিল জেটের ক্ষুব্ধ পাইলটদের সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাভিয়েটর্স গিল্ড (ন্যাগ)।
চিঠিতে ন্যাগে’র দাবি, বিমান সংস্থাটি প্রায় ‘বন্ধের মুখে’। আর শেষ পর্যন্ত তা হলে কাজ হারাবেন কয়েক হাজার কর্মী। সমস্যায় পড়বেন যাত্রীরাও।
এমনিতেই কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্নের মুখে মোদী সরকার। সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, জেটের কর্মীরা কাজ হারালে জনমানসে ভুল বার্তা যাবে। সেই ঝুঁকি এড়াতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে জেটকে দেওয়া বকেয়া ঋণ অংশীদারিতে বদলের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। মোদীকে লেখা চিঠিতে ‘ন্যাগ’ জানিয়েছে, সাত মাস ধরে পাইলট ও ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন অনিয়মিত। এখনও বকেয়া তিন মাসের। এর ফলে তাঁরা তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করছেন। যাতে সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে। কিন্তু এ ধরনের পেশায় সর্বোচ্চ মানের সচেতনতা ও সুরক্ষা জরুরি। মানসিক চাপ সে ক্ষেত্রে একেবারেই কাম্য নয়। এর আগে একই অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিয়েছেন জেটের ইঞ্জিনিয়ারেরাও।
ক্ষুব্ধ পাইলটদের একাংশের দাবি, সংস্থার অন্য কর্মীরা নিয়মিত বেতন পেলেও বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে শুধু পাইলট ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে। সংস্থাটির এক উচ্চপদস্থ কর্তা বৃহস্পতিবার জানান, ওই দুই শ্রেণির কর্মীদের বেতন অন্যদের চেয়ে বেশি। ফলে তাঁদের বেতন না দিলে খরচ আপাতত কিছুটা কমবে। যদিও পাইলটদের দাবি, জেটের পণ্য পরিবহণ ব্যবসার টাকা থেকেই বকেয়া বেতন দেওয়া সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy