Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Hemant Soren

কোথায় ছিলেন ৩০ ঘণ্টা! ‘নিখোঁজ’ প্রশ্নের জবাব দিয়ে, কী বললেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?

রবিবার থেকে খোঁজ না পাওয়া হেমন্তকে মঙ্গলবার একটি গাড়িতে চেপে ঢুকতে দেখা যায় রাঁচিতে তাঁর নিজের বাড়িতে। এর পরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী সোরেন।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৫
Share: Save:

তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি নয় নয় করে ৩০ ঘণ্টা। মঙ্গলবার রাঁচীতে ফিরে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জানালেন তাঁর ‘বিশেষ ঠিকানা’ আসলে কোথায়?

রবিবার রাতে দিল্লিতে নামতে দেখা গিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। সেখানেই শেষ বার দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার পরে আবার হেমন্তের দেখা মেলে মঙ্গলবার রাঁচীতে তাঁর বাড়ির সামনে। তত ক্ষণে তাঁর নামে ‘নিখোঁজ’ পোস্টার ফেলেছে বিজেপি। তাতে এ-ও বলা হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর খবর দিলে ১১ হাজার টাকা ইনাম দেওয়া হবে। স্বাভাবিক ভাবেই হেমন্তকে রাঁচীতে দেখার পরে তাঁকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, তিনি কোথায় ছিলেন? এর জবাবে ঝড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি তো আপনাদের হৃদয়েই থাকি।’’

হেমন্তের খোঁজ চেয়ে সেই পোস্টার।

হেমন্তের খোঁজ চেয়ে সেই পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত।

রবিবার থেকে খোঁজ না পাওয়া হেমন্তকে মঙ্গলবার একটি গাড়িতে চেপে ঢুকতে দেখা যায় রাঁচীতে তাঁর নিজের বাড়িতে। এর পরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী সোরেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল যে, জেএমএম বিধায়কদের কাছে নির্দেশ যায়, কোনও ভাবেই তাঁরা যেন ঝাড়খণ্ডের বাইরে না যান এবং যে কোনও মূল্যে এই বৈঠকে যোগ দেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকালে রাঁচীতে হেমন্তের বাড়িতে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন হেমন্তের স্ত্রী কল্পনা সোরেন। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট হয়নি।

জেএমএমের তরফে বলা হয়েছে, যাঁরা রাজ্যের ক্ষতিসাধান করতে চাইছেন, তাঁদের কী ভাবে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে, তারই রণকৌশল ঠিক হয়েছে ওই বৈঠকে। যদিও বিজেপির দাবি, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে হেমন্তের স্ত্রী কল্পনার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ওই বৈঠকে। মঙ্গলবার ওই বৈঠক সেরেই হেমন্ত যান রাঁচীর ‘বাপু বাটিকা’য় মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখানেই সাংবাদিকেরা তাঁকে তাঁর গত ৩০ ঘণ্টার ঠিকানা নিয়ে প্রশ্ন করলে হেমন্ত প্রশ্নটিকে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, জনতার হৃদয়ই তাঁর ঠিকানা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hemant Soren
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE