জেএনইউ ক্যাম্পাসে (বাঁ দিক থেকে)কানহাইয়া, উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র
আফজল গুরুর ফাঁসির বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকার অভিযোগে অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও উমর খালিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) কর্তৃপক্ষ। ওই দুই প়ড়ুয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাসপেন্ড করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জেএনইউ সূত্রে খবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে জরিমানা করা হতে পারে।
আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদ-অনুষ্ঠানে জড়িত থাকায় কানহাইয়া, অনির্বাণ, উমরকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। আপাতত তাঁরা জামিনে মুক্ত। কিন্তু ওই বিতর্কিত অনুষ্ঠান নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করতে একটি কমিটি গড়ে জেএনইউ। অভিযুক্ত পড়ুয়ারা কেউ ওই কমিটির সামনে হাজির না হননি।
জেএনইউ সূত্রে খবর, তদন্তে দেখা গিয়েছে বারণ করা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আফজলের ফাঁসির বিরুদ্ধে অনুষ্ঠান করেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য-উমর খালিদেরা। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার বিষয়ে একমত ওই কমিটির সদস্যেরা। একটি সূত্রের মতে, ওই দুই পড়ুয়াকে দু’তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছে কমিটি। ওই সময়কালে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি হতে পারে। কানহাইয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি ওই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে দশ হাজার টাকা জরিমানা করার সুপারিশ করেছে কমিটি। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম জগদীশ কুমার।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় পাটিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির হওয়ার সময়ে কানহাইয়াদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে আইনজীবীদের একাংশের বিরুদ্ধে। দিল্লি পুলিশ ওই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি বলেও অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্ত চেয়ে শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী কামিনী জায়সবাল-সহ কয়েক জন আবেদনকারী। সেই আর্জির শুনানিতে এ দিন বেঞ্চ জানতে চায়, কানহাইয়ার মামলার শুনানির সময়ে কেন কালো গাউন পরা কয়েক জন অবাঞ্ছিত ব্যক্তি এজলাসে হাজির ছিল। পুলিশের আইনজীবী অজিত সিনহা অবশ্য জানান, এজলাসে এমন কোনও অবাঞ্ছিত ব্যক্তি ছিলেন না। শুনানির আগে পাশের একটি ঘরে কানহাইয়াকে নিয়ে অপেক্ষা করছিল পুলিশ। সেখানে কালো গাউন পরা দু’জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ছিলেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে ওই দু’জনই আইনজীবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy