মধ্যরাতে দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন জেএনইউ-এর ছাত্র উমর খালিদ এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
আগেই তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিল্লিহাইকোর্ট জানিয়েছিল দু’জনকে রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না।
আদালত জানায়, আত্মসমর্পণ বা গ্রেফতারির মধ্যে যে কোনও একটিকে বেছে নিতে হবে। আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়াও দেশের আইন অনুযায়ীই হবে। অভিযুক্ত পড়ুয়াদের শর্ত মেনে গোপনে এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বেষ্টনীতে তাঁদের আত্মসমর্পণ করানো সম্ভব নয়। স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত।
জেএনইউ-তে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া ও দেশদ্রোহী কার্যকলাপে অংশ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উমর খালিদ এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। গ্রেফতারি এড়াতে বেশ কয়েক দিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তাঁরা। রবিবার রাতে তাঁরা জেএনইউ ক্যাম্পাসে ফিরেছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে পুলিশকে ঢুকতে নিষেধ করায়, উমর-অনির্বাণরা জেএনইউ চত্বরে অবাধেই ঘুরছেন।
গ্রেফতারি এ়ড়াতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট উমর খালিদ এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের রায়, আত্মসমর্পণ না করলে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করবে। তার পর আদালতেই স্থির হবে, তাঁরা পুলিশ হেফাজতে থাকবেন না জেল হেফাজতে। উমর এবং অনির্বাণের কৌঁসুলির আবেদন ছিল, এই দুই অভিযুক্তকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে আত্মসমর্পণ করানোর ব্যবস্থা করা হোক। কোথায় তাঁরা আত্মসমর্পণ করবেন, তাও গোপন রাখা হোক। আদালত উমর খালিদ এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যের এই আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট মঙ্গলবার বলেছে, ‘‘আপনাদের মর্জি এবং কল্পনা অনুসারে সব কিছু হবে না। যা হওয়ার, পদ্ধতি মেনেই হবে। আত্মসমর্পণ করুন। না হলে গ্রেফতার করা হবে।’’
আরও পড়ুন:
দেশবিরোধী স্লোগানে কানহাইয়ার প্রশ্রয়ের প্রমাণ আছে, দাবি পুলিশের
সংসদে জঙ্গিহানার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল যে আফজল গুরুকে, জেএনইউ ক্যাম্পাসে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সেই আফজল গুরুর মৃত্যুবার্ষিকি স্মরণ করতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য-সহ বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। সেই কর্মসূচি থেকেই ভারত বিরোধী স্লোগান ওঠে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের শর্ত, তাঁরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারেন। কিন্তু যেখানে আত্মসমর্পণ করবেন সেখানে শুধু পড়ুয়ারাই থাকবেন, আর কেউ নয়। পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, পড়ুয়াদের জমায়েতের মধ্যে দাঁড়িয়ে উমর, অনির্বাণদের আত্মসমর্পণ করাতে গেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সেই ঝুঁকি পুলিশ নিতে চায় না। তার প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ, কোনও শর্ত ছাড়াই আত্মসমর্পণ করতে হবে উমর, অনির্বাণদের। না হলে গ্রেফতার হতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy