নাগরিকত্ব বিল সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) অসম সফর স্থগিত রাখা হল। কেন স্থগিত করা হল তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। লোকসভার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অনিবার্য কারণে জেপিসির অসম সফর স্থগিত করা হয়েছে। পরে কবে তাঁরা শুনানির জন্য অসমে আসবেন সে সম্পর্কে এখনই কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, শাসক জোটের অন্যতম শরিক অসম গণ পরিষদ, ছাত্র সংগঠন আসু-সহ বিভিন্ন সংগঠন বাংলাদেশ থেকে আসা সে দেশের ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু’দের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিপক্ষে। তাদের বিরোধিতার কারণ, এই বিল আইনি রূপ পেলে অসমে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু বাঙালিরা অনেক সহজেই নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। অগপ, আসু-র সঙ্গে এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অসম প্রদেশ কংগ্রেসও। এ ছাড়াও, বিভিন্ন দল ও সংগঠন এই বিষয়ে অসমীয়া-অস্মিতারও প্রশ্ন তুলেছে।
বিলকে ঘিরে অসমীয়া আবেগ অনুধাবন করে অস্বস্তিতে পড়েছেন একদা বিদেশি শণাক্তকরণ সংক্রান্ত আইএমডিটি আইনের বিরুদ্ধে লড়ে ‘জাতীয় নায়ক’-এর খেতাব পাওয়া মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও। রাজ্যে জনরোষের প্রতিক্রিয়া কেন্দ্রীয় সরকার ও জেপিসিকে জানিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন তিনি। আবেদন জানিয়েছেন, বিলের সংশোধনী নিয়ে রাজ্যবাসীর আবেগ যেন অগ্রাহ্য করা না হয়। শাসক জোটের শরিক অগপ স্পষ্টই জানিয়েছে, অসম চুক্তি অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পরে আসা কোনও বাংলাদেশিকে অসমে থাকতে দেওয়া হবে না।
জেপিসির কাছে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই দিল্লি ঘুরে এসেছে অগপ, আসু-সহ বিভিন্ন সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে জেপিসি ২ ও ৩ নভেম্বর অসমেও শুনানি-সফরে আসবে বলে জানায়। সেই মতো বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। শুনানিতে হাজির থাকতে ইতিমধ্যেই অনেক আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু আজ লোকসভার সচিবালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে সফর স্থগিত করেছে। পরবর্তী সফরের দিন লোকসভা সচিবালয়ের তরফে পরে জানানো হবে। যে সব সংগঠন ও ব্যক্তির নাম শুনানির জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছে বা যাঁরা আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন, তাঁদের আর নতুন করে আবেদন জানাতে হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy