ছবি: সংগৃহীত।
গুরুগ্রামে এক বিচারকের স্ত্রী ও পুত্রকে প্রকাশ্য বাজারে গুলি করল তাঁরই ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিচারকের স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁর ছেলের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুলি চালানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে।
গুরুগ্রামে সেক্টর ৪৯-এ আর্কাডিয়া বাজারের কাছে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। এখানেই বাজার করতে এসেছিলেন অতিরিক্ত সেশনস বিচারক কিষাণকান্ত শর্মার স্ত্রী ও পুত্র। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীও। বাজারের মধ্যেই সবাইকে হতচকিত করে গুলি চালাতে শুরু করেন ওই দেহরক্ষী।
প্রথমে গুলি চালানো হয় বিচারকের স্ত্রী, তার পর গুলি চালানো হয় তাঁর ছেলের ওপর। এর পরই বিচারকের ছেলেকে গাড়িতে টেনে তুলতে চেষ্টা করে ওই দেহরক্ষী। কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় ছেলেকে রাস্তাতেই ফেলে বিচারকের গাড়ি নিয়েই চম্পট দেয় সে।
আরও পড়ুন: মাথায় গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা শুভেন্দুর দেহরক্ষীর
কিন্তু নাটকের এখানেই শেষ নয়। বিচারকের গাড়ি নিয়েই স্থানীয় সদর পুলিশ থানায় এসে ফের গুলি চালাতে শুরু করে ওই দেহরক্ষী। থানায় উপস্থিত পুলিশকর্মীরা তাঁকে ধরতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য গুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সফল হয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘দক্ষিণ ভারত যাওয়ার থেকে পাকিস্তান যাওয়া ভাল’, ফের বিতর্কে সিধু
বিচারকের দেহরক্ষীকে প্রাথমিক জেরা করার পর পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বন্দুকবাজের নাম মহিপাল। প্রায় দেড় বছর ধরে বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে সে নিযুক্ত ছিল। বিচারকের পরিবারের হাতে নিয়মিত দুর্ব্যবহারের শিকার হতো মহিপাল। সেই হতাশা থেকেই প্রকাশ্য বাজারে গুলি চালিয়ে তাঁদের মেরে ফেলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy