সকলের জন্য বাড়ি। নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল এটি। বুধবার সেই প্রতিশ্রুতিতে বাস্তবের সিলমোহর লাগাল কেন্দ্র। এ দিন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত শহরাঞ্চলের জন্য এই প্রকল্প আনা হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকার জন্য পরে বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।’’
মন্ত্রী জানান, দেশের ৪ হাজার ৪১টি শহরকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। তবে, প্রথম পর্যায়ে ‘এ ওয়ান’ তকমাধারী দেশের ৫০০টি শহরে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। তাঁর দাবি, এই প্রকল্পে চার ধরনের কাজ হবে। এক. বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নিয়ে শহরাঞ্চলের বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা। দুই. শহরাঞ্চলে বসবাসকারী যে সমস্ত নাগরিক খুবই গরিব, তাঁদের বাড়ি তৈরি করতে ভর্তুকি দেওয়া। তিন. সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সস্তার ফ্ল্যাট তৈরি। চার. ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বাড়ি তৈরির কাজে ভর্তুকি দেওয়া।
কাদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে?
দু’ধরনের নাগরিক এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন। রবিশঙ্কর জানান, আর্থিক ভাবে দুর্বল সম্প্রদায়ের মানুষদের দু’টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এক. আর্থিক ভাবে অনগ্রসর এবং দুই. নিম্ন আয়ের পরিবার। এই দুই ধরনের নাগরিকেরাই ‘সকলের জন্য বাড়ি’ প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন। তাঁদেরকে ১৫ বছরের জন্য আবাসিক ঋণ দেবে সরকার। সেই ঋণের সুদে ৬.৫ শতাংশ হারে ভর্তুকিও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রবিশঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘এই আবাসিক ঋণ মাত্র ৪ শতাংশ সুদে পাওয়া যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy