প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কালী বাংলার। এবং কালী দেশেরও। সাম্প্রতিক কালী-বিতর্কের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে কালী-মাহাত্ম্যের কথা। রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের পঞ্চাদশ অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে রবিবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি রামকৃষ্ণ থেকে বিবেকানন্দের কালীপ্রেমের কথা যেমন তুলে ধরেন, তেমনই স্মৃতিচারণ করেন আত্মস্থানন্দের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কেরও।
মোদী বলেন, ‘‘রামকৃষ্ণ বলেছিলেন, এই সম্পূর্ণ জগৎ-সংসার মায়ের চেতনায় ভরা।’’ বিবেকানন্দের মতো ব্যক্তিত্বও কালী মন্দিরে মূর্তির সামনে শিশুর মতো আচরণ করতেন, মনে করান তিনি। এবং বলেন, ‘‘কালী নিয়ে বাংলার মনীষীদের এই বোধ, কালীর প্রতি এই ভক্তি, নিষ্ঠাভরে করা বাংলার কালী পুজোতেও দেখা যায়।’’ একইসঙ্গে বলেছেন, ‘‘কালীর আশীর্বাদ সব সময় ভারতের সঙ্গে রয়েছে।’’
ঘটনাচক্রে গত কয়েক দিন ধরে বাংলা তথা ভারতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক চলছে ‘কালী’ তথ্যচিত্রের পোস্টার এবং কালীপুজো নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য ঘিরে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য সেই বিতর্ক নিয়ে কোনও কথা বলেননি।
মোদী না বললেও, তাঁর কালীস্তুতির পরেই সেই বক্তব্যের সঙ্গে মহুয়ার প্রসঙ্গ টেনে এনেছে বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান এবং বাংলায় বিজেপির পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য টুইটারে লেখেন, ‘মোদী যেখানে বাংলা তথা গোটা দেশের কালীভক্তির কথা স্মরণ করছেন, সেখানে বাংলার এক সাংসদ কালীকে অপমান করছেন।” মহুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সমালোচনা করেছেন অমিত।
লীনা মনিমেকালাইয়ের তথ্যচিত্র ‘কালী’র একটি পোস্টার ঘিরে কিছু দিন আগেই প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। সেই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েই, কালীপুজোয় মদ এবং মাংস দেওয়ার কথা বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া। বিজেপি তাঁর গ্রেফতারির দাবি তোলে। তৃণমূলও জানিয়ে দেয়, মহুয়ার বক্তব্যে সমর্থন নেই তাঁদের। কিন্তু মহুয়া এখনও তাঁর বক্তব্যে অনড়ই রয়েছেন। রবিবার অমিত মালব্যের টুইটের পর তিনিও পাল্টা টুইট করেন। লেখেন, ‘আপনার প্রভুদের বলুন, যা নিয়ে কিছু জানেন না, তা নিয়ে যেন কথা না বলেন।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy