জল-ছবি। বৃষ্টির পর করিমগঞ্জে। শুক্রবার। ছবি: উত্তম মুহরী।
বিজেপির আন্দোলনে যেন রসদ জোগাচ্ছে প্রকৃতিই!
পশলা বৃষ্টিতেই জেলা বিজেপি দফতরের সামনে জমছে হাঁটুজল। এতে ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা। একে কংগ্রেসের উপহার হিসেবে তুলে ধরছেন জেলার প্রথম সারির বিজেপি নেতারা। করিমগঞ্জ পুরসভার ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টি বিজেপির দফলে। ১৭টি কংগ্রেসের। প্রায়ই দু’দলের তরজা চরমে ওঠে। পুরসভার শাসক কংগ্রেসকে কোনও ভাবেই রেয়াত করে না বিজেপি। কংগ্রেসও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজেপিকে নিশানা করে।
গত রাতে মুষলধারার বৃষ্টি হয় করিমগঞ্জ শহরে। শহরের ব্রজেন্দ্র রোড, মিশন রোড, নীলমণি রোড, চরবাজার, সুভানগরের কিছু অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মিশন রোডে তা কার্যত বন্যার চেহারা নেয়। মদনমোহন মাধবচরণ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা স্কুলে ঢুকতেই পারেনি। বৃষ্টি হলেই করিমগঞ্জ শহরে জল জমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, ‘মাস্টার ড্রেনেজ’ ব্যবস্থা চালুর আগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় নালা ছিল। কিন্তু নতুন পরিকাঠামো তৈরির সময় বড় নালাগুলির প্রস্থ কমানো হয়। তার জেরে বেশি বৃষ্টি হলে নালা দিয়ে জল বেরিয়ে যেতে পারে না। তাতেই বেড়েছে দুর্ভোগ। সে দিকে তাকিয়ে নতুন নিকাশি ব্যবস্থায় পরিবর্তনের দাবি উঠেছে।
করিমগঞ্জের উপ-পুরপ্রধান পার্থসারথি দাস বলেন, ‘‘ওয়ার্ডের আবর্জনা সরানোর জন্য প্রতি মাসে পুরসদস্যদের টাকা দেওয়া হয়। নিকাশি নালাগুলি নিয়মিত পরিষ্কার রাখার চেষ্টাও চলছে। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ ‘মাস্টার ড্রেনেজ’-এর জন্যই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুরসভাকে।’’
জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শুধু বিজেপি দফতরের সামনেই নয়, শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছে কংগ্রেস। এ নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy