Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কর্নাটক দখলে রাখতে প্রস্তুতি রাহুলের

দিল্লিতে রাহুলের সঙ্গে দেখা করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া-সহ রাজ্যের প্রথম সারির কংগ্রেস নেতারা। বৈঠক হয় কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে। সেখানে কর্নাটক ভোটের রূপরেখা নিয়ে কথা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩০
Share: Save:

সামনেই কর্নাটক বিধানসভার ভোট। শনিবার তার প্রস্তুতিতে নেমে পড়লেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।

এ দিন দিল্লিতে রাহুলের সঙ্গে দেখা করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া-সহ রাজ্যের প্রথম সারির কংগ্রেস নেতারা। বৈঠক হয় কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে। সেখানে কর্নাটক ভোটের রূপরেখা নিয়ে কথা হয়েছে।

কর্নাটক কংগ্রেসের প্রধান জি পরমেশ্বর বলেন, ‘‘১০-১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফার নির্বাচনী প্রচারে কর্নাটকে যাবেন রাহুল। জনসভা করার পাশাপাশি তিনি কথা বললেন রাজ্যের বিশিষ্টজন, কৃষক, মহিলা এবং ছাত্রদের সঙ্গে।’’ কংগ্রেস সূত্রের খবর, গুজরাতের পরে কর্নাটকের ভোটেও বিজেপিকে ধাক্কা দিতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নামতে চাইছেন রাহুল। কোনও রকম সময় নষ্ট করতে তিনি রাজি নন।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, কর্নাটকে রাহুল প্রচার শুরু করতে পারেন চিকমাগালুরের শৃঙ্গেরী সারদা পীঠ থেকে। এর পরে কর্নাটকের অন্য মঠ-মন্দিরেও যাবেন তিনি। শৃঙ্গেরী সারদা পীঠ বহু বার গিয়েছেন রাহুলের বাবা রাজীব গাঁধীও। রাজনীতিকদের মতে, গুজরাতে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে ‘নরম হিন্দুত্ব’ প্রচার করে বিজেপিকে বেগ দিতে পেরেছেন সনিয়া-পুত্র। কর্নাটকেও সেই ফর্মুলাতেই বাজিমাত করতে চাইছেন তিনি। এ দিন রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্দারামাইয়া, পরমেশ্বর ছাড়াও ছিলেন মল্লিকার্জুন খড়্গে, বীরাপ্পা মইলি, অস্কার ফার্নান্ডেজ, কে সি বেণুগোপালের মতো নেতারা।

তবে ভোটের আগেই তরজায় তেতে উঠেছে কর্নাটক। সম্প্রতি বিজেপির সভায় যোগ দিতে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই সময় তাঁর সঙ্গে টুইট-তরজায় মেতে উঠেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। এর পরে বিজেপি এবং আরএসএস-কে জঙ্গি সংগঠন বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ পাল্টা দাবি করেছিলেন, সিদ্দারামাইয়া হিন্দু বিরোধী নীতি নিয়ে চলছেন। এ দিন বৈঠকের পরে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘আমি মোটেও বিজেপি এবং আরএসএস-কে জঙ্গি বলিনি। আমি বলেছিলাম হিন্দুত্বের নামে তারা ঘৃণা ছড়াচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, বিজেপির বলার মতো কিছু নেই। তাই তারা এই সব অপ্রাসঙ্গিক বিষয় তুলছে।

কর্নাটকে কংগ্রেসের জিতে আসার ব্যাপারেও আশাবাদী সিদ্দারামাইয়া। তাঁর দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে কর্নাটকবাসীর কোনও ক্ষোভ নেই। সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও পূরণ করা হয়েছে। ‘‘আর তাই রাহুলও খুব খুশি’’, দাবি সিদ্দারামাইয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE