কোদাগুতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে লাঠি চার্জ পুলিশের। ছবি: পিটিআই।
অসহিষ্ণুতার আবহে নতুন সংযোজন কর্নাটক। টিপু সুলতান স্মরণের অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তাল কর্নাটক। নাট্যকার তথা অভিনেতা গিরীশ কারনাডকে কট্টরবাদীদের হুমকি, এম এম কালবুর্গির মতো খুন করা হবে তাঁকেও। টিপু স্মরণ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করায় আর এক দল মৌলবাদী প্রাণনাশের হুমকি দিল বিজেপি নেতা প্রতাপ সিমহাকেও।
কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের সরকার সে রাজ্যে টিপু সুলতানের জন্মজয়ন্তী পালনের আয়োজন করেছে ধুমধাম করে। শুরু থেকেই এর বিরোধিতায় পথে নেমেছে আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই দুই সংগঠনের দাবি, টিপু সুলতান মৌলবাদী শাসক ছিলেন। তাঁর রাজত্বে হিন্দু ও খ্রিস্টানরা অত্যাচারিত হতেন। টিপু স্মরণ বাতিল করতে বলে আন্দোলনে নামে সঙ্ঘ পরিবার। বিরোধী দল বিজেপি-ও সরকারি অনুষ্ঠান বয়কটের পথে হাঁটে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া অবশ্য বিরোধিতায় কান দেননি। তিনি বলেন, ‘‘টিপু সুলতান দেশভক্ত ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাই তাঁকে স্মরণ করা হচ্ছে।’’ রাজ্য সরকার আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন নাট্যকার তথা অভিনেতা গিরীশ কারনাড-ও। তিনি বলেন, বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির নামকরণ টিপু সুলতানের নামে হওয়া উচিত। এর পরই হুমকি দেওয়া হয় গিরীশকে। এম এম কালবুর্গির যে অবস্থা হয়েছে, গিরীশ কারনাডেরও তাই হবে বলে টুইটারে হুমকি দেওয়া হয়। গিরীশ কারনাড এর পর তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করেন এবং ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, তাঁর মন্তব্যে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে তিনি দুঃখিত। তবে খুনের হুমকিতে তিনি একেবারেই ভীত নন, জানিয়েছেন কারনাড। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমি ফেসবুক বা টুইটারে নেই। তাই কোনও হুমকির কথা আমি জানি না।’’ ৭৭ বছরের নাট্যকারের কথায়, ‘‘বিতর্ক নিয়ে আমি বিচলিত নই। অনেকবার বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছি।’’ গোটা পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিকদেরই দায়ী করেছেন কারনাড।
‘ভীত নই, মর্মাহত’, বললেন কারনাড
অন্য এক দল মৌলবাদীর রোষে পড়েছেন কর্নাটকের বিজেপি নেতা প্রতাপ সিমহা। রাজ্য সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতেই টিপু স্মরণের আয়োজন করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এর পর ফেসবুকে প্রাণনাশের হুমকি পান তিনি।
গত কয়েক দিনে টিপু জয়ন্তী ঘিরে গোলমালে কর্নাটকে অন্তত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকারের কর্মসূচি বাতিলের দাবিতে যাঁরা পথে নেমেছিলেন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁদেরই মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সবচেয়ে উত্তপ্ত বিজেপি’র শক্ত ঘাঁটি কোডাগুতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy