জঙ্গলে জ্বলতে থাকা আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল কিশোরীর। ফাইল ছবি।
জঙ্গলের পথ ধরে মেলার দিকে যাচ্ছিল কিশোরী। তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যেরাও ছিলেন। কিন্তু মেলার হুল্লোড় মুহূর্তে বদলে গেল বিষাদে। জঙ্গলের আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল কিশোরীর।
ঘটনাটি কর্নাটকের টুমাকুরু জেলার দেবরায়নদুর্গা জঙ্গলের। মৃত কিশোরীর নাম এস মনসা (১৩)। স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত সে। জঙ্গল লাগোয়া ইরাকাসান্দ্রা এলাকায় কিশোরীর বাড়ি। মঙ্গলবার আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে দল বেঁধে সে লক্ষ্মী নরসিংহ স্বামী মন্দিরের পাশের মেলায় যাচ্ছিল। কিন্তু ওই জঙ্গলের একাংশে আগুন জ্বলছিল সে সময়। অসাবধানতাবশত সেই আগুনের সংস্পর্শে এসে পড়ে মনসা। তার পোশাকে আগুন ধরে যায়।
কিশোরীর সঙ্গে আরও যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আগুন নেভানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনে তত ক্ষণে ঝলসে গিয়েছিল কিশোরীর দেহের অনেকাংশ। শেষমেশ তাকে উদ্ধার করে টুমাকুরু সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় কিশোরীর।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরীর মা ওই এলাকায় একটি ছোট খাবারের দোকান চালান। তার বাবা আগেই মারা গিয়েছেন। মায়ের সঙ্গে একাই থাকত কিশোরী। এই ঘটনার জন্য এক প্রকার স্থানীয়দেরই দায়ী করেছেন বনকর্মীরা।
বন দফতরের দাবি, বর্তমানে দেবরায়নদুর্গা জঙ্গলে অন্তত ২ থেকে ৩ হেক্টর জমিতে আগুন জ্বলছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই জঙ্গলের একাংশের শুকনো ঘাসপাতায় আগুন ধরিয়ে দেন। প্রায়ই জঙ্গলের নানা প্রান্তে তাই আগুন জ্বলতে দেখা যায়। যাঁরা পশুপালন করেন, তাঁদের ধারণা, শুকিয়ে যাওয়া ঘাসপাতায় আগুন জ্বালিয়ে দিলে সেই স্থানে বৃষ্টির জল পড়ে আবার নতুন ঘাস জন্মাবে। স্থানীয়দের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনার অভাব রয়েছে বলেও দাবি বনকর্মীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy