কর্নাটকে চলতি জাতসমীক্ষায় স্থগিতাদেশ দিল না কর্নাটক হাই কোর্ট। আদালত বলেছে, “কেন এই সমীক্ষা স্থগিত করতে হবে, তার কোনও কারণ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না।” তবে ওই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে কাউকে বাধ্য করা যাবে না এবং প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য গোপন রাখতে হবে বলে আদালতের নির্দেশ।
পিছিয়ে পড়া শ্রেণিগুলির জন্য কর্নাটক রাজ্য কমিশন (কেএসসিবিসি) আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষাগত সমীক্ষা শুরু করেছে। চলতি কথায় তাকে জাতসমীক্ষা বলা হচ্ছে। এই সমীক্ষাকে চ্যালেঞ্জ করেই একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল হাই কোর্টে। প্রধান বিচারপতি বিভু বাখরু এবং বিচারপতি সিএম জোশীর ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন তার অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশ জারি করেছে এবং ওই সমীক্ষা চালু রাখার পক্ষেই মত দিয়েছে।
এ দিন বিচারপতিরা এই সমীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচের ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশও দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন যে, কোনও ব্যক্তিকে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য জানাতে বাধ্য করা যাবে না। সমীক্ষায় অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ রূপে স্বেচ্ছাধীন হতে হবে। বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্য পুরোপুরি সংরক্ষিত এবং গোপন রাখার বিষয়টি কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। যদি কেউ এই সমীক্ষায় যোগ দিতে না চান, তাঁকে কোনও ভাবে প্ররোচিত করা যাবে না, চাপ দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সব ক’টি শর্ত মেনে চলার ব্যাপারে কমিশনকে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে।
২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই সমীক্ষা ৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার সমীক্ষক রাজ্যের ২ কোটি পরিবারের প্রায় ৭ কোটি মানুষের উপর সমীক্ষা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানত সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরাই সমীক্ষার দায়িত্বে থাকছেন। ৪২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিচালিত এই সমীক্ষা ৬০টি প্রশ্নের ফর্ম রয়েছে। এর চূড়ান্ত রিপোর্ট ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে জমা পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)