কালা দিবসের প্রচার। শ্রীনগরে বুধবার। ছবি: পিটিআই।
জম্মু ও কাশ্মীরে বিক্ষোভ দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে বুধবার ‘কালা দিবস’ পালন করল পাকিস্তান। তার পর কাশ্মীরেও শুক্রবার ‘কালা দিবস’ পালনের ডাক দিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। অন্য দিকে উত্তেজনা প্রশমনে আলোচনার রাস্তাই উপযুক্ত বলে মনে করছে কেন্দ্র। উপত্যকার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার তোড়জোড় শুরু করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
শুক্রবার উপত্যকায় কালা দিবসের ডাক দিয়েছেন হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি গিলানি, মিরওয়াইজ উমর ফারুক এবং জেকেএলএফ-এর চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক। ওই তিন নেতা যৌথ বিবৃতিতে শুক্রবার প্রতিটি বাড়ির ছাদে কালো পতাকা তুলে বিক্ষোভ দেখানোর আবেদন করেছেন। এই তিন নেতার তরফে এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘ওই দিন রাত সা়ড়ে আটটা থেকে ন’টা পর্যন্ত সমস্ত আলোও নিভিয়ে রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে।’’ শুক্রবার মিছিলেরও ডাক দিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা।
কেন্দ্র মনে করছে, কালা দিবসকে কেন্দ্র করে ফের একপ্রস্ত উত্তপ্ত হতে চলেছে কাশ্মীর। গোয়েন্দাদের মতে, কালা দিবসের নামে এই প্রতিবাদের পিছনেও আইএসআইয়ের উস্কানি রয়েছে বলেই জানতে পেরেছে নয়াদিল্লি। সেই কারণে শুক্রবারের আগেই বিচ্ছিন্নবাদী নেতাদের গৃহবন্দি করার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। আজ কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে রাজনাথের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও সেখানকার দলীয় বিধায়ক ইউসুফ তারিগামি। সীতারাম অবিলম্বে রাজনাথকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার জন্য অনুরোধ করেন। রাজনাথ আশ্বাস দেন, তিনি সবর্দলীয় বৈঠকের পাশাপাশি কাশ্মীর গিয়ে সেখানকার ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
এ দিনও থমথমে রয়েছে উপত্যকা। কাশ্মীরের ১০ জেলায় কার্ফু জারি রয়েছে। বিচ্ছিন্ন টেলি যোগাযোগ। দোকান-বাজার, বাণিজ্যক প্রতিষ্ঠান, পেট্রোল পাম্পও বন্ধ। সরকারি দফতর এবং ব্যাঙ্ক খোলা থাকলেও হাজিরা ছিল সামান্য। এ দিনও কাশ্মীরে কোনও সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়নি। বিক্ষোভে মদত দিয়ে পরিস্থিতি অশান্ত করায় গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সংবাদপত্র ছাপা বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। তবে কাল থেকে ফের প্রকাশিত হতে পারে কিছু সংবাদপত্র।
কাশ্মীর প্রশ্নে কালা দিবস পালনের পাশাপাশি আজ পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ কাশ্মীরে গণভোটের দাবি জানিয়েছেন। শরিফ বলেন, ‘‘কাশ্মীর আদৌ ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নয়। কাশ্মীরিদের অধিকারকে মর্যাদা দিতে ভারতের উচিত গণভোট করা।’’ যদিও শরিফের ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে সাউথ ব্লক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy