সর্ষের মধ্যে ভূত খুঁজছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। বাহিনীর মধ্যেই হিজবুল মুজাহিদিনের চর রয়েছে বলে ধারণা পুলিশ কর্তাদের।
সম্প্রতি কাশ্মীরে বেশ কয়েক জন পুলিশের বাড়িতে হামলা হয়েছে। হেনস্থা করা হয়েছে তাঁদের পরিবারকে। গত সপ্তাহের শেষে একসঙ্গে ১৪ জন পুলিশের পরিবার জঙ্গিদের হুমকির মুখে পড়ায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সোপিয়ানে দুই কনস্টেবলকে মারধর করা হয়। এক জনকে টেনেহিঁচড়ে স্থানীয় মসজিদে নিয়ে যায় জনতা। সেখানে লাউডস্পিকারে তাঁকে দিয়ে ইস্তফার কথা ঘোষণা করানো হয়। অ্যাম্বুল্যান্সে করে শ্রীনগরে অস্ত্র আনা হচ্ছে বলে খবর পেয়ে সেটিকে আটকেছিলেন এক ওসি। সোপিয়ানে তাঁর পরিবারকে হুমকি দিয়েছে জঙ্গিরা। খুদওয়ানিতে এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাড়ি তছনছ করা হয়েছে।
কিন্তু সোপিয়ানেরই অন্য একটি ঘটনা চিন্তা আরও বাড়িয়েছে প্রশাসনের। এক পুলিশের বাড়িতে হুমকি দেওয়ার সময়ে জঙ্গিরা জানিয়ে দেয়, তিনি তাদের গতিবিধি সম্পর্কে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করছেন। সেটা বন্ধ না হলে ফল ভয়ঙ্কর হবে। তার পরেই পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ হয়, বাহিনীর মধ্যেই চর আছে। কারণ, তা না হলে কে গোপনে তথ্য সংগ্রহ করেন তা জঙ্গিদের জানার কথা নয়। পুলিশকর্মীদের আপাতত কয়েক মাস বাড়িতে যেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।
উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে আজ মন্ত্রিভার সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন মেহবুবা মুফতি। তার পরে বাহিনীকে ‘সংযত’ থাকার আবেদন জানায় সরকার। অন্য দিকে বাহিনীর ‘বাড়়াবাড়ি’র প্রতিবাদে পথে নেমেছে ন্যাশনাল কনফারেন্সের যুব শাখা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy