Advertisement
E-Paper

মাধ্যমিক দেওয়ার বয়সেই এই মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার!

তিনি কাশীভট্ট সংহিতা। বয়স ১৬। তেলঙ্গানার চৈতন্য ভারতী ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে এ বার ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নিয়ে পাশ করেছেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৮ ১৫:১২
কাশীভট্ট সংহিতা। ছবি সৌজন্য: ফেসবুক।

কাশীভট্ট সংহিতা। ছবি সৌজন্য: ফেসবুক।

তিন বছর বয়সেই গড় গড় করে বলে ফেলতেন বিশ্বের সব দেশের নাম ও তাদের রাজধানী। বাবা-মা দেখে বুঝেছিলেন এ মেয়ের মধ্যে একটা বিস্ময় প্রতিভা রয়েছে। সফর শুরু সেখান থেকেই। ওই বয়সেই প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি টপকে ঢুকে পড়েছিলেন হাই স্কুলে। একের পর এক সাফল্য ছুঁয়েছে তাঁর পা।তাঁর যখন দশ বছর বয়স, সে সময়েই মাধ্যমিকপাশ করেন। সেই মেয়েই এখন তেলঙ্গানার কনিষ্ঠতম ইঞ্জিনিয়ার।

তিনি কাশীভট্ট সংহিতা। বয়স ১৬। তেলঙ্গানার চৈতন্য ভারতী ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে এ বার ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নিয়ে পাশ করেছেন। বি টেক ডিগ্রি তো পেয়ে গেলেন, এ বার? সংহিতার স্পষ্ট জবাব, এ বার এম টেক-এর ডিগ্রি অর্জন করার পালা।

পড়ার মধ্যেই শুধু মুখ গুঁজে বসে থাকতে ভাল লাগে না তাঁর। সংহিতা বলেন, “পড়াশোনার পাশাপাশি আঁকা, গান নিয়েও ব্যস্ত থাকেন। তবে এ সব কিছুর মধ্যে যেন সামঞ্জস্য থাকে সেটাও খেয়াল রাখেন।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, একঘেয়ে পড়াশোনা তাঁর মোটেই ভাল লাগে না। রসবোধ এবং কনসেপচুয়াল পড়াশোনাই পছন্দ বেশি তাঁর।

আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ১০০ শতাংশের বেশি নম্বর! হ্যাঁ সত্যিই সেই বিহারে

২০১৪ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন সংহিতা। এই বয়সে মেয়ে কি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সুযোগ পাবে, আশঙ্কা ছিল বাবা-মায়ের মধ্যে। কিন্তু তা বলে মেয়ের প্রতিভার সঙ্গে তো আর আপোস করা যায় না! রাজ্য সরকারের কাছে মেয়ের প্রতিভার কথা তুলে ধরেইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার জন্য আর্জি জানান তাঁরা। সে আর্জিতে অনুমোদনও দিয়ে দেয় সরকার। ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড মেডিক্যাল কমন এন্ট্রান্স টেস্ট (ইএএমসিইটি)-এ বসার জন্য সংহিতাকে বয়সের ছাড়ও দেওয়া হয়। কলেজের অধ্যক্ষ বরীন্দ্র রেড্ডি জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রনিক্স বিভাগে সেরাদের মধ্যে জায়গা করে নেন সংহিতা। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াকালীন তাঁর বড় চাকরির সুযোগও আসে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে বয়সের দিক থেকে উতরে গেলেও চাকরির ক্ষেত্রে কিন্তু বয়সটাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর।

আরও পড়ুন: থানায় পুলিশকে চড়, সিসিটিভি-তে ধরা পড়ল বিজেপি বিধায়কের কীর্তি

বাবা এল এন কাশীভট্ট পেশায় এক জন কনসালট্যান্ট এবং মা গীতা চতুর্বেদুলা টেক-মাহিন্দ্রার প্রোজেক্ট ম্যানেজারের পদে কর্মরত। মেয়ের অভাবনীয় সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কাশীভট্ট ও গীতা বলেন, “শুধু পড়াশোনাতেই নয়, আঁকা এবং গানেও যথেষ্ট পারদর্শী সংহিতা।”

Telengana Kasibhatta Samhitha youngest engineer কাশীভট্ট সংহিতা তেলঙ্গানা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy