দিল্লির পুরভোটের ঠিক চার দিন আগে আজ দলের ইস্তেহার প্রকাশ করলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লিবাসীর বাড়ির উপরে থাকা কর মকুব করা ছাড়াও সব শিশুর জন্য শিক্ষা ও রাজধানীকে স্বচ্ছ বানিয়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগের হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার আশ্বাস দিল আম আদমি পার্টি। একই সঙ্গে দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইতিবাচক কথার মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে হবে কর্মীদের। কুকথা বলা যাবে না নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
পঞ্জাব, গোয়া তারপর দিল্লির রাজৌরি গার্ডেনে বিধানসভা উপনির্বাচনে পরাজয়। হারের হ্যাটট্রিক করে ফেলেছে কেজরীবালের দল। ফলে আসন্ন পুরভোট কেজরীবালের জন্য চরম পরীক্ষা হতে চলেছে বলেই মনে করছে সব পক্ষ। এই পরিস্থিতিতে কেজরীবালের সিদ্ধান্ত, গত দু’বছরে দিল্লির উন্নতিতে যে কাজ তাঁর দল করেছে সেই কাজের প্রচারই কেবল তুলে ধরা হবে। কোনও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের কুৎসা করা যাবে না।
বর্তমানে কেজরীবালের বিরুদ্ধেই বিজেপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে কুৎসা করার অপরাধে আদালতে মামলা চালু রয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কেজরীবাল। আর অরুণ জেটলির মতো শীর্ষ নেতাকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করায় মানহানির মামলায় প্রতি মাসে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।
এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো অঙ্ক কষেই কেজরীবাল কুৎসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে মোদীর বিরুদ্ধে নীরবতার পিছনে কেজরীবালের সুনির্দিষ্ট রণকৌশল রয়েছে বলেই মত বিরোধী শিবিরের। বিজেপি শিবিরের ব্যাখ্যা, কেজরীবাল বুঝতে পারছেন মোদীকে আক্রমণ করার অর্থই হল পুরভোটে অহেতুক প্রধানমন্ত্রীকে টেনে আনা। সে ক্ষেত্রে মোদীর কাজকর্মের সঙ্গে আপের কাজের তুলনা শুরু হয়ে যাবে। সরাসরি আপের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড়িয়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদী। পুরভোটে অন্তত মোদী বনাম আপ লড়াইতে নামতে নারাজ কেজরীবালেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy