পিসি চাকো। ফাইল চিত্র।
ভোটের আগেই কেরল কংগ্রেসে বড়সড় ধাক্কা। ‘দলবাজি’র অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান নেতা পিসি চাকো। সনিয়া গাঁধীর কাছে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেনও বলেও জানিয়েছেন চাকো।
তাঁর অভিযোগ, কেরলে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভোট হতে চলেছে। রাজ্যবাসী চাইছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরুক। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব ক্রমাগত দলবাজি করে যাচ্ছে। এ নিয়ে তিনি হাইকম্যান্ড-কে জানিয়েছিলেন। দলবাজি যাতে শেষ হয়, সেই পদক্ষেপ করার জন্যও আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। সরাসরি নাম না বললেও, চাকোর আক্রমণের নিশানা যে সনিয়া এবং রাহুল গাঁধী সেটা তাঁর কথা থেকে স্পষ্ট বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কেরলের ত্রিশূরের প্রাক্তন সাংসদ চাকো। রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা এবং মুখপাত্রদের মধ্যে অন্যতম। ভোটের মুখে দলের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তোলায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেসের।
দলে গণতন্ত্র নেই বলেও অভিযোগ তুলেছেন চাকো। প্রার্থিতালিকা নিয়েও দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বর্ষীয়ান এই নেতা। তাঁর কথায়, “রাজ্যের নেতাদের এড়িয়ে প্রার্থিতালিকা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য কংগ্রেস কমিটির সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা করা হয়নি।” চাকো আরও বলেন, “নির্বাচনের জন্য কোনও প্যানেল তৈরি করা হয়নি। জেতার ক্ষমতা রয়েছে, এমন ব্যাক্তিকে প্রার্থী করা হয়নি।”
সপ্তাহখানেক আগেই কেরল থেকে এক সঙ্গে ৪ জন নেতা দল ছেড়েছেন। এবং সেই ৪ জনই রাহুল গাঁধীর লোকসভা কেন্দ্র ওয়ানাড়ের। তাঁরাও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দল ছেড়েছিলেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই দলের এক বর্ষীয়ান নেতা ‘দলবাজির’ অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করায় যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ল কংগ্রেস। একই সঙ্গে এই পদত্যাগ দলের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটকে আরও প্রকট করে তুলল।
ঘটনাচক্রে, রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের যে সব নেতারা নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেই সব নেতাদের বিরোধিতা করে রাহুলের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন চাকো। রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে আস্থা রাখা সেই বর্ষীয়ান নেতাই এ বার দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কংগ্রেসের নেতৃত্বের সমস্যাটি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy