রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালকে বিলে স্বাক্ষর করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার এক্তিয়ার আদালতের নেই বলে সম্প্রতি নিজের প্রশ্নপত্র পেশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তার পরিপ্রেক্ষিতে কেরল সরকার তার বক্তব্যে জানাল, রাষ্ট্রপতির প্রশ্নপত্র (প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স) গ্রহণযোগ্য নয়। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন দাখিল করে কেরল সরকারের আর্জি, রাষ্ট্রপতির প্রশ্নপত্রের কোনও উত্তর না দিয়েই তা ফেরত পাঠানো হোক।
রাষ্ট্রপতির প্রশ্নপত্রটি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে রয়েছে। ওই প্রশ্নপত্রে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০০ এবং ২০১-এ যথাক্রমে রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সংক্রান্ত যে বিধি আছে, তার উপর ভিত্তি করে ১৪টি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এ বিষয়ে ২২ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলির কাছে তাদের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। কেরল সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী কে কে বেণুগোপাল গত সপ্তাহে সাংবিধানিক বেঞ্চকে বলেছেন, রাষ্ট্রপতির প্রশ্নপত্রে যে ১৪টি প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তার মধ্যে ১১টির উত্তর তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল সংক্রান্ত মামলার রায়েই দেওয়া আছে। রাষ্ট্রপতি দাবি করেছেন যে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০০-য় রাজ্যপালকে কোনও সময়সীমার আওতায় ফেলা হয়নি। সেই দাবি খণ্ডন করে বেণুগোপালের বক্তব্য, অনুচ্ছেদ ২০০-য় স্পষ্ট বলা আছে ‘যত শীঘ্র সম্ভব’ বিলে সই করতে হবে। তিনি মনে করিয়েছেন, তামিলনাড়ু মামলার রায় আসার পরে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও রিভিউ বা কিউরেটিভ পিটিশন করা হয়নি। তার মানে ধরে নিতে হবে, কেন্দ্রীয় সরকারও বিষয়টি মেনে নিয়েছে।
এর পরে কেরল সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী সি কে শশী সরকারের বক্তব্য একটি পৃথক পিটিশনের আকারে সু্প্রিম কোর্টে দায়ের করেছেন। সেখানে দাবি করা হয়েছে, অনুচ্ছেদ ২০০-এর ব্যাখ্যা করে ইতিমধ্যেই তিনটি সাংবিধানিক বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের রায় রয়েছে। এ নিয়ে আর কোনও ধোঁয়াশার অবকাশ নেই।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)