কেরলের মন্ত্রী কে টি জলিল। ছবি সংগৃহীত।
তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে ৩০ কেজি সোনা উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত চলতে চলতেই এ বার কালিকট বিমানবন্দর থেকেও উদ্ধার হল প্রায় ১০ কেজি সোনা। আগে থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে আসা একটি বিমানের যাত্রী ও বিমানকর্মীদের তল্লাশি করে রাজস্ব দফতরের গোয়েন্দারা ওই সোনা উদ্ধার করেন।
পাঁচ জন যাত্রীর কাছ থেকে মোট ৮ কেজি সোনা উদ্ধার হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার এক কেবিন কর্মী কোমরে আরও দু’কেজি সোনা বেঁধে নিয়ে এসেছিলেন বলে অভিযোগ। উদ্ধার হয় সেই সোনাও। বৃহস্পতিবারও শুল্ক দফতরের অফিসাররা এক যাত্রীকে সোনা পাচারে জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করে আটক করেছিলেন। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি পালিয়ে যান।
এ দিকে, তিরুঅনন্তপুরমের সোনা পাচারের ঘটনায় কেরলের মন্ত্রী কে টি জলিলকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার ডেকেছে শুল্ক দফতর। এর আগে জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনআইএ এবং ইডি। সোনা পাচারে অন্যতম অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের কল রেকর্ডে জলিলের নাম আসাতেই তাঁকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কেরলের বিরোধী শিবির, বিশেষ করে বিজেপির পক্ষ থেকে জলিলের পদত্যাগ করার দাবি ক্রমশ জোরদার করা হচ্ছে।
আগামী বছর কেরলে ভোট। তার আগে এই সোনা পাচার নিয়েই বিজয়ন সরকারকে ঠেসে ধরতে চাইছে গেরুয়া শিবির। জলিল নিজে অবশ্য দাবি করছেন, তিনি এই মামলায় কোনও ভাবেই অভিযুক্ত নন। ফলে পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে না। তদন্তকারীদের সঙ্গে তিনি সহযোগিতা করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy