খলিস্তানপন্থী জঙ্গি হরপ্রীত সিংহ ওরফে হ্যাপি পাসিয়াকে ভারতে ফেরত পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে আমেরিকায়। পঞ্জাবের বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত ১৬টি নাশকতার ঘটনায় হ্যাপির যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। গত বছরে পঞ্জাবের গুরদাসপুরে গ্রেনেড হামলাতেও তাঁর নাম জড়িয়েছে। গত এপ্রিলে তাঁকে গ্রেফতার করে আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই এবং সে দেশের অভিবাসন ও শুল্ক দফতরের পুলিশ।
শুধু ভারতেই নয়, আমেরিকাতেও একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে হ্যাপির বিরুদ্ধে। গত এপ্রিলে হ্যাপিকে গ্রেফতার করার পরে এফবিআই প্রধান কাশ পটেল সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ভারত এবং আমেরিকা উভয় দেশেই একাধিক থানায় হামলার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এবং আমেরিকার স্থানীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে এফবিআই তদন্ত চালাচ্ছিল বলেও ওই সময় জানান পটেল।
খলিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল’ (বিকেআই)-এর সঙ্গে হ্যাপির যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-ও তাঁকে সহযোগিতা করেছে বলেও অভিযোগ। বর্তমানে আমেরিকার অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই হ্যাপিকে ভারতে ফেরত পাঠানো হতে পারে এবং সেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) অনেক দিন ধরেই হ্যাপিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনআইএ জানিয়েছিল, হ্যাপির খোঁজ দিতে পারলে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। গত বছরের অক্টোবরে চণ্ডীগড়ের একটি বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ৩০টিরও বেশি মামলা রয়েছে ভারতে।