Advertisement
E-Paper

কে এই যোদী আদিত্যনাথ জেনে নিন সংক্ষেপে

উত্তরপ্রদেশের জন্য বিরাট চমক। অবশেষে কাটল জটিলতা। বিজেপি নেতৃত্ব এবং আরএসএস নেতৃত্বের ম্যারাথন আলোচনার পর গোরখপুরের সাংসদ যোগী আদিত্যনাথকেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হল।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৭ ২০:১৬
যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।

যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।

উত্তরপ্রদেশের জন্য বিরাট চমক। অবশেষে কাটল জটিলতা। বিজেপি নেতৃত্ব এবং আরএসএস নেতৃত্বের ম্যারাথন আলোচনার পর গোরখপুরের সাংসদ যোগী আদিত্যনাথকেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হল। রবিবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন। বিভিন্ন মন্তব্য করে বার বার শিরোনামে এসেছেন তিনি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কে এই যোগী আদিত্যনাথ।

আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বিজেপি সাংসদ। টানা পাঁচ বার তিনি এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।

আসলে তিনি উত্তরাখণ্ডের মানুষ। তাঁর আসল নাম অজয় সিংহ। ১৯৭২ সালের ৫ জুন উত্তরাখণ্ডে জন্মেছিলেন আদিত্যনাথ। গোরক্ষনাথ মন্দিরের মোহন্ত তাঁকে দীক্ষা দিলে তিনি যোগী হন।

গাড়োয়াল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাস করেন। ২৬ বছর বয়সেই তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে ১২তম লোকসভা ভোটে গোরক্ষপুর থেকে নির্বাচিত হয়ে সব চেয়ে কমবয়সী সাংসদ হিসাবে লোকসভায় যান।

হিন্দু মহাসভা নামে একটি সংগঠনের সভাপতিও ছিলেন তিনি। যে সংগঠনের লক্ষ্য হল হিন্দুত্বকে ছড়িয়ে দেওয়া। ২০০৫ সালে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। শোনা যায় এর পিছনেও আদিত্যনাথের হাত ছিল। পরবর্তীকালে গোরক্ষপুরের সাংসদ মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ-সহ গোটা ভারতকে হিন্দু মহারাষ্ট্র না বানানো পর্যন্ত আমি ক্ষান্ত হব না।’’ দিন দিন তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। আর তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে ভোট বাক্সে।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে চমক, নয়া মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ

২০০৭ সালে গোরক্ষপুর দাঙ্গায় তাঁকে প্রধান অভিযুক্ত করে প্রশাসন। তাঁকে গ্রেফতার করে ফৌজদারি মামলা রুজু করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে।

বিরোধীদের মতে, তাঁর টানা জয়ের পিছনে রয়েছে কট্টর হিন্দুত্ববাদ। এতে ক্রমশ তাঁর শক্তি বেড়েই চলেছে। যোগীর সমর্থকেরা স্লোগান দিয়ে থাকেন ‘‘গোরখপুর মে রহনা হ্যায় তো যোগী যোগী কহনা হ্যায়।’’

‘হোলি’ এবং ‘দীপাবলি’ উৎসব কবে পালন করা হবে বলে গোরক্ষনাথ মন্দির থেকে ফরমান জারি করেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁর প্রচেষ্টায় গোরক্ষপুরের কয়েকটি ঐতিহাসিক জনপদের নাম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এখানকার ‘আলিনগর’ হয়েছে ‘আর্যনগর’। ‘উর্দু বাজার’-এর বদলে এখন নাম হয়েছে ‘হিন্দি বাজার’। তাঁর যুক্তি, দেশের পরিচিতি ‘হিন্দি’তে রয়েছে, ‘উর্দু’তে নয়।

বিজেপি’র সঙ্গে সেই অর্থে তাঁর কখনওই সুসম্পর্ক ছিল না। ২০০৭ সাল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে একটা দ্বন্দ্ব ছিল আদিত্যনাথের। তাঁর পছন্দের প্রার্থীদের গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু তাঁর এই দাবিকে পত্রপাঠ নাকচ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু পরবর্তীকালে আরএসএস-এর মধ্যস্থতায় কিছুটা হলেও বরফ গলে। যোগী তাঁর পছন্দের আট জন প্রার্থীকে টিকিট পাইয়ে দেন।

আরও পড়ুন: দেখে নিন যোগী আদিত্যনাথের কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হয়ে জোরদার প্রচার চালিয়েছিলেন আদিত্যনাথ।

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে মাঝেমধ্যেই সংসদ ভবনে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে।

Yogi Adityanath CM Uttar Pradesh Gorakhpur Hindu Maha Sabha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy