অসমে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ ও ভূমিহীনদের পাট্টা দেওয়ার দাবিতে হাইলাকান্দিতে বিক্ষোভ দেখাল কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি।
আজ কেএমএসএস সংগঠনের কয়েকশো সদস্য-সমর্থক হাইলাকান্দির জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে গণ-সত্যাগ্রহ পালন করেন। কেএমএসএস নেতারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘উচ্ছেদের নামে সরকার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।’’ তাঁরা দ্রুত সংগঠনের নেতা অখিল গগৈর মুক্তির দাবি জানান। বিক্ষোভকারীরা রাজ্যের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নামে ‘মুর্দাবাদ’ স্লোগান দেন। কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির জেলা সভাপতি শরিফউদ্দিন মাজারভুঁইঞা, সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ, রাজ্য সম্পাদক জহিরউদ্দিন লস্করের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা হিলালউদ্দিন লস্কর, মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা পারভেজ খসরু, বদরুল ইসলাম, হিবজুর রহমান রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জনবিন্যাস ঠিক করার নামে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করছেন। হাইলাকান্দিতে উচ্ছেদ অভিযান করা হলে তা রুখে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা। কেএমএসএস নেতারা জানান, কাজিরাঙায় উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন। তাঁরা জানান, দক্ষিণ হাইলাকান্দির ১১ হাজার হেক্টর জমি মিজোরাম জবরদখল করে রেখেছে। তা উদ্ধারের জন্য দাবি ওঠে।
ধর্নার পর ৮ দফা দাবির সমর্থনে জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে স্মারকপত্র পাঠানো হয়। তাতে সিলিং জমিতে বসবাসকারীদের পাট্টা প্রদান, মিজোরাম সীমানায় থাকা অসমের বাসিন্দাদের পাট্টা, উচ্ছেদ বন্ধ করা, দক্ষিণ হাইলাকান্দির অসমশাসিত এলাকায় বসতি স্থাপন, জমি উদ্ধার এবং কৃষক নেতা অখিল গগৈয়ের দ্রুত মুক্তির দাবি জানানো হয়।
কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি এ দিন হাইলাকান্দি প্রশাসনের কাছে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি জানালে প্রশাসন তা মেনে নেয়। ২৬ অক্টোবর হাইলাকান্দিতে জেলাশাসকের সভাকক্ষে ওই বৈঠক হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy