—ফাইল চিত্র
তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া দুই নেতা— শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়কে অর্থলগ্নি সংস্থা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করার দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ!
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে একটি চিঠি কুণাল পাঠিয়েছেন শাহের কাছে। জানা গিয়েছে, সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে কুণালকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। অমিত শাহ চিঠিটি খতিয়ে দেখে তবেই প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন বলে খবর। মন্ত্রকের রীতি অনুযায়ী, এই ধরনের রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয়ের প্রাপ্তিস্বীকার করে উত্তর দেওয়া হয় না। কোনও প্রকল্প সংক্রান্ত দাবিদাওয়া, অথবা সৌজন্যমূলক চিঠিরই প্রাপ্তিস্বীকার করে পাঠানো হয় মন্ত্রীর পক্ষ থেকে। আর প্রাপ্তিস্বীকার করলেও তা সাধারণত করেন মন্ত্রকের সচিবেরা। এ বিষয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও রাত পর্যন্ত তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন আসন্ন। প্রচারে জনসভায় বিজেপি-কে প্রতি দিনই প্রায় আক্রমণ করছেন কুণাল। কিন্তু সূত্রের মতে, রাজনৈতিক বিরোধিতা করলেও চিট ফান্ড তদন্তে কেন্দ্রকে সহযোগিতা করতেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এর আগে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারকে নিয়েও শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন কুণাল।
শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, ২০১১ সালে সারদার অর্থে এবং ২০১৪ সালে অ্যালকেমিস্ট-এর টাকায় তৃণমূল ভোটে লড়েছে। শুধু তা-ই নয়, শুভেন্দু বলেন, অ্যালকেমিস্ট সংস্থার প্রদত্ত টাকা বিতরণ করেছেন এমন একজন যিনি এখন বিজেপি-তে (মুকুল রায়)। শাহকে কুণাল লিখেছেন, ‘২০১৩ সালে আমি যা বলতাম, আজ শুভেন্দু সেই কথা বলছেন! তা হলে এত দিন তাঁরা তথ্য গোপন করেছেন, তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন এবং টাকা বণ্টন করে ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছেন। এঁদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা হোক।’ কুণালের বক্তব্য, জেল থেকে আদালতকে লেখা সুদীপ্ত সেনের চিঠিতেও এই দু’জনের নাম রয়েছে। আদালতের ছাপ মারা সেই চিঠির কপিও শাহকে পাঠিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy