কার্গিল হয়ে পাকিস্তানে চলে যাওয়া ভারতীয় মহিলাকে দেশে ফেরানোর পরেই গ্রেফতার করল পুলিশ। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা সুনীতা জামগাড়ে চলতি মাসেই কার্গিল হয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পরবর্তী সময়েই এই ঘটনা ঘটেছিল। ৪৩ বছর বয়সি সুনীতাকে গত শনিবার ভারতের হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান। অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে ভারতে ফেরানোর পরেই পঞ্জাবের অমৃতসরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁকে নাগপুর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পাকিস্তান থেকে ওই মহিলাকে ভারতে ফেরানোর পরে প্রথমে অমৃতসরে একটি ‘জ়িরো এফআইআর’ (অন্য থানায় স্থানান্তরযোগ্য এফআইআর) করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ওই এফআইআরের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সুনীতাকে। তাঁর গ্রেফতারির খবর পেয়ে নাগপুর পুলিশের একটি দল অমৃতসরের উদ্দেশে রওনা দেয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সুনীতাকে নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে অমৃতসর থেকে দিল্লিতে পৌঁছায় নাগপুর পুলিশের দল। বুধবার বেশি রাতের দিকে তাঁরা নাগপুরে ফেরেন। সেখানে ধৃত মহিলাকে আদালতে পেশ করে আগামী ২ জুন পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বস্তুত, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। চার দিন ধরে দু’দেশের সামরিক সংঘর্ষও চলেছে। এই উত্তেজনাময় পরিস্থিতির মধ্যেই লুকিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। পিটিআই জানিয়েছে, গত ৪ জুন নিজের ১৩ বছর বয়সি সন্তানকে নিয়ে কার্গিলে পৌঁছান সুনীতা। পরে ১৪ জুন কার্গিল থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে যান তিনি। নাবালক সন্তানকে কার্গিলেই ফেলে রাখেন বলে অভিযোগ। পাকিস্তানে প্রবেশের পরে সেখানে ধরা পড়ে যান মহিলা। পিটিআই সূত্রে খবর, ওই মহিলা কী কারণে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, কাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশের একটি সূত্র মারফত পিটিআই জানিয়েছে, নির্দিষ্ট ভাবে দু’জন পাকিস্তানির সঙ্গে ওই মহিলার সাক্ষাতের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। জ়ুলফিকর এবং পাস্তর নামে দুই পাকিস্তানির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে কি না, তাঁদের সুনীতা কোনও তথ্য দিয়েছেন কি না, সে বিষয়ে বিশদে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।