—ফাইল চিত্র।
কথায় বলে, ‘যেখানে সন্ধে হয়, সেখানে বাঘের ভয়’। কিন্তু, এই আপ্তবাক্যটিই যে আক্ষরিক অর্থে খেটে যাবে তা কে জানত! ভরসন্ধ্যায় এমন ভয়েই কাবু হলেন দেহরাদূনের বাসিন্দারা। তবে বাঘ নয়, সেখানে দেখা দিল একটি আস্ত লেপার্ড বা চিতাবাঘ। ঘণ্টা ছয়েক বসতি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল সেটি। শেষমেশ নিজের মেজাজেই পাড়া দাপিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিল।
দেহরাদূনের কেবল বিহার এলাকায় মঙ্গলবারের ঘটনা। তখন সবে সন্ধ্যা নেমেছে। শাস্ত্রবুদ্ধে রোডের বসতি এলাকায় রোজকার মতোই রাস্তাঘাটে লোকজন হেঁটে যাচ্ছেন। আশপাশের বহুতলের ছাদে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে। হঠাৎই তাঁরা দেখেন, একটি একতলা বাড়ি থেকে পড়িমরি করে চিৎকার করতে করতে ছুটে বেড়িয়ে আসছেন এক মহিলা। কী হয়েছে বোঝার আগেই দেখা গেল, ওই মহিলার সঙ্গে সঙ্গে ছুটতে শুরু করেছেন রাস্তার লোকজনও।
আশপাশের ছাদে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরই এক জন ওই ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন। ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, একটি লেপার্ড অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ওই মহিলার বাড়ির দেওয়াল টপকে এক লাফে ঘরে ঢুকে পড়ছে। ওই ‘অতিথি’কে বাড়ির ভিতর দেখে মহিলার তখন চোখ কপালে! ভয়ে দিশেহারা হয়ে তাই ঘর ছেড়ে রাস্তায় ছুট লাগিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
ভোটের মুখে প্রকাশ্যে এল চিকিৎসাধীন জয়ার ভিডিও, জোর তরজা তামিলনাড়ুতে
বড়দিনের উৎসব চলবে না, স্কুলে স্কুলে চিঠি হিন্দু সংগঠনের
রাস্তায় থুতু ফেললেই খবরের কাগজে ছবি!
দেখুন ভিডিও
আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা এর পর বন দফতরে খবর দেন। তবে দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও আতঙ্ক কমেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই লেপার্ডটিকে ঘুম পাড়িয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞ কর্মী তাঁদের সঙ্গে ছিলেন না। ঘণ্টাখানেক পরে রাজাজি টাইগার রিজার্ভ থেকে এক জন পশুচিকিৎসক ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন। কিন্তু, তিনি ঘুমপাড়ানি গুলি চালানোর আগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় লেপার্ডটি। তবে, লেপার্ডটি পালালেও তার আতঙ্ক এখনও ছেড়ে যায়নি এলাকাবাসীর মন থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy