পাকিস্তানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যাঘাত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি (বাঁ দিকে) এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ (ডান দিকে)। ছবি: এক্স।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাক সেনাঘাঁটি বা সাধারণ কোনও নাগরিককে নিশানা করা হয়নি। তাঁরা বলেন, ‘‘এখনও কোনও সাধারণ নাগরিকের ক্ষতি করা হয়নি। নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বিল্ডিংয়ে হামলা হয়েছে। সেনাঘাঁটিতে কোনও হামলা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে ওই ভবনগুলি ভাঙা হয়েছে।’’
ব্যোমিকা, সোফিয়ারা জানান, পাকিস্তানের ভিতরে শিয়ালকোটের সার্জাল ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমা থেকে তা ছ’কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া হামলা হয়েছে মেহমুনা জোয়া ক্যাম্পে। সেখানে হিজ়বুলের ক্যাম্প ছিল। পঠানকোটে এখান থেকেই হামলা চালানো হয়। মুরিদকের মারকাজ় তৈবায় হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। ২৬/১১ মুম্বই হামলার জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এখান থেকেই। আজ়মল কসাবও উঠে আসেন এখান থেকেই।
কোথায় কোথায় কেন হামলা চালানো হয়েছে, তালিকা দেন ব্যোমিকা, সোফিয়ারা। তাঁদের তালিকা অনুযায়ী, প্রথম নিশানা ছিল শুভান আল্লাহ মসজিদ, সেখানে লশকর-এ-ত্যায়বার ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে। বিলাল মসজিদে ছিল জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র। কোটলিতে যে মসজিদে হামলা হয়েছে, তা লশকরের ঘাঁটি। এই ঘাঁটি পুঞ্চে সক্রিয়। এগুলি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে রয়েছে।
কর্নেল সোফিয়া, উইং কমান্ডার ব্যোমিকারা জানাচ্ছেন কী ভাবে পাকিস্তানে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁরা বলেন, ‘‘পাকিস্তানে মোট ন’টি ঘাঁটিকে নিশানা করা হয়েছে। সেগুলিকে পুরো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে মদত দিচ্ছে।’’
বিক্রম বলেন, ‘‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়। জেনেশুনে সেই দেশে লুকিয়ে রাখা হয় সন্ত্রাসবাদীদের। পহেলগাঁওয়ের হামলার পর দেশের নানা প্রান্তে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই তার পর ভারত সরকার কিছু পদক্ষেপ করে। কিন্তু তার পরেও পহেলগাঁওয়ের ঘটনার জন্য ন্যায়বিচার আবশ্যক ছিল। ওই ঘটনার পরেও পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। উল্টে ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করছে। আমাদের কাছে খবর ছিল, ভারতের বিরুদ্ধে আগামী দিনেও হামলা হতে পারে। তাই এই প্রত্যাঘাত আবশ্যক ছিল। ভারত নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করেছে জবাব দিতে। সন্ত্রাসবাদের কাঠামোকে ধ্বংস করতেই এই হামলা। রাষ্ট্রপুঞ্জ গত ২৫ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের হামলার নিন্দা করে বলেছিল ন্যায়বিচার দরকার। ভারতের প্রত্যাঘাত তার ভিত্তিতেই।’’
বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী বলেন, ‘‘মুম্বই হামলার পর পহেলগাঁওয়ের ঘটনা সবচেয়ে
বড় জঙ্গি হামলা। পরিবারের সামনে পুরুষদের মাথায় গুলি করে মারা হয়েছে। কাশ্মীরের উন্নয়নের উপরেই হামলা। জঙ্গি সংগঠন টিআরএফ হামলার দায় স্বীকার করেছে। জইশ, লশকরেরা এই ধরনের ছোট সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করে চলেছে। তার বিরুদ্ধই ভারতের এই জবাব।’’
২০০১ সালের পার্লামেন্ট হামলা, ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার মতো ঘটনাগুলির ভিডিয়ো ফুটেজ দেখাচ্ছে বাহিনী।
সেনার সাংবাদিক বৈঠকে থাকবেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। এ ছাড়াও দুই মহিলা আধিকারিক থাকবেন। তাঁরা হলেন উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ এবং কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy