মেহসানার ভডনগরেই জন্ম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। শুধু কি তাই, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এই মেহসানাতেই পড়াশোনা করেছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল, গুজরাতের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী নিতিনভাই পটেল— তাঁদেরও জন্ম এই মেহসানায়। ১৯৮৪ সালে লোকসভায় বিজেপির খাতা খুলেছিল এই মেহসানার হাত ধরেই। এশিয়ার সবচেয়ে বড় ডেয়ারি ‘দুধসাগর’ এই জেলাতে। ওএনজিসি-র সবচেয়ে বড় প্রকল্প এই মেহসানায়। বাবুভাইয়ের ভাই অম্রুতভাই সেনমার কথায়: ‘‘মেহসানা আসলে ভীষণই পাওয়ারফুল। তা সে রাজনীতি হোক বা অর্থনীতি। সেই পাওয়ারের তলায় আমরা চাপা পড়ে গিয়েছি।’’
কেন দলিতদের এমন অবস্থা? মেহসানা থেকেই মোবাইলে প্রশ্নটা করা গেল বিজেপি নেতা কিসান সিন সোলাঙ্কিকে। তিনি তখন আমদাবাদে প্রচারকাজে ব্যস্ত। প্রশ্ন শুনে অবাক গলায় জবাব দিলেন, ‘‘না, না আপনি যেমনটা বলছেন তেমনটা নয়। দু’একটা জায়গায় সামান্য সমস্যা হয়তো আছে। তবে ও সব মিটে যাবে। চিন্তা করবেন না।’’ তার পরেই কটাক্ষ করে বললেন, ‘‘দলিতদের অবস্থা যদি এ রাজ্যে খারাপ হবে, তা হলে কি জিগনেস মেবানী নিশ্চিন্তে বিহারের বেগুসরাইতে কানহাইয়াকুমারকে জেতানোর জন্য পড়ে থাকতেন! এতেই তো বোঝা যায়, গুজরাতে দলিতরা ভাল আছে।’’
তবে কি দলিতদের মধ্যে জিগনেসের গ্রহণযোগ্যতা কমে গিয়েছে? তাই নিজের রাজ্যে ছেড়ে ভিন্রাজ্যে ভোটের কাজে? বিষয়টা মানলেন না জিগনেসের সহকর্মী কৌশিক পরমার। মেহসানা পুরনো আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, ‘‘জিগনেসের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমি নিজে দলিত। জিগনেসের প্রভাব নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। এখনও তিনি সমান ভাবে গ্রহণযোগ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy