Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মোদী-স্লোগানে কেন ধরপাকড়: অমিত

বেঙ্গালুরুতে তরুণ কিছু উদ্যোগপতির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪২
Share: Save:

বেঙ্গালুরুতে রাহুল গাঁধীর সভায় ‘মোদী-মোদী’ স্লোগান তোলা বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশি তাণ্ডবের অভিযোগে আজ রাহুলকেই একহাত নিলেন অমিত শাহ। বিজেপি সভাপতির দাবি, যুবসমাজকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতে চাইছে কর্নাটকে কংগ্রেস এবং জেডি(এস)-এর সরকার।

কাল বেঙ্গালুরুতে তরুণ কিছু উদ্যোগপতির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর ভাষণের সময়ে সভাস্থলের বাইরে কিছু মানুষ জড়ো হয়ে ‘নরেন্দ্র মোদী জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে থাকেন। বিজেপির অভিযোগ, যা শোনামাত্র বিক্ষোভকারীদের দিকে তেড়ে যায় পুলিশ। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়, তাঁদের মধ্যে কয়েক জন তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী ছিলেন বলেও দাবি করেছেন অমিত শাহ।

এ নিয়ে আজ সরাসরি রাহুলকেই নিশানা করে ‘চৌকিদার অমিত শাহ’ টুইট করেন, ‘‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-এর সঙ্গে আলিঙ্গন করছেন রাহুল। আর যে যুবকেরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হল। জানতে ইচ্ছে করে, যাঁরা কথায় কথায় বাক্‌স্বাধীনতার ধুয়ো তোলে, তাঁরা এখন কোথায়।’’ রাহুলকে ‘কংগ্রেসের যুবরাজ’ সম্বোধন করে তিনি এরই সঙ্গে হঁশিয়ারি দেন— ‘‘তরুণ সমাজই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে, তাই এঁদের ভয় দেখানো বন্ধ হোক।’’ আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বেঙ্গালুরুর ঘটনা নিয়ে সুর চড়ান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্করও।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

রাহুলের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকেও নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা বলেন, বিজেপি স্বৈরতান্ত্রিক দল, বিরোধীদের কথা বলতে দেয় না। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে কী হল, সেটার জবাব দিন।’’ বিষয়টা যাতে এখানেই না-থামে, তা নিয়ে কর্নাটকের রাজ্য বিজেপি-কেও বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। রাহুলের সভায় পুলিশি সক্রিয়তা নিয়ে কর্নাটক বিজেপিও জানিয়েছে— শুধু ‘মোদী’ স্লোগান দিয়ে গ্রেফতার হওয়া মানে, বোঝাই যাচ্ছে রাজ্যে কতটা বিপন্ন গণতন্ত্র। প্রত্যক্ষদর্শীদের অবশ্য দাবি, শুধু ‘মোদী’ স্লোগান নয়, বিভোক্ষকারীরা ‘রাহুল দূর হটো’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড নিয়েও হাজির হয়েছিলেন সভাস্থলের বাইরে। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ প্রথমে বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলে। তাতেও কাজ না হওয়ায় বলপ্রয়োগ করতে হয় পুলিশকে।

এ দিকে ‘মোদী স্লোগান’ পিছু ছাড়ছে না উত্তরপ্রদেশ সফররত প্রিয়ঙ্কারারও। আজ মির্জাপুরে বিন্ধ্যবাসিনী মন্দিরে ঢোকার মুখে বিজেপি সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। গাড়ি থেকে প্রিয়ঙ্কা নামামাত্রই শুরু হয়ে যায় ‘মোদী-মোদী’ স্লোগান। সূত্রের খবর, এ নিয়ে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে খানিক ধস্তাধস্তিও হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে দিল্লিতে কংগ্রেসের রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘মন্দিরকেও ওরা (বিজেপি) রাজনীতির আখড়া বানিয়ে ফেলল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE