রাহুল গাঁধী শিবভক্ত। এ বারে রামভক্তির মন্ত্র নিয়ে অযোধ্যা যাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। এখনও পর্যন্ত প্রিয়ঙ্কার যে সফর চূড়ান্ত হয়েছে, সেই অনুযায়ী আগামী কাল রাতে পুরনো দিল্লি রেলস্টেশন থেকে কৈফিয়ত এক্সপ্রেসে চাপবেন তিনি। পরশু ভোরে পৌঁছবেন ফৈজাবাদে। সকাল দশটা নাগাদ প্রিয়ঙ্কা যাবেন হনুমানগড়ীতে পুজো দিতে। তার পরেই শুরু হবে তাঁর রোড-শো। কুমারগঞ্জ পর্যন্ত পথে ৩২টি জায়গায় থামবেন তিনি। ছোট সভাও করবেন। রোড-শো শেষে অমেঠীর উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।
প্রিয়ঙ্কার সফরে এখনও পর্যন্ত রামলালা দর্শনের কোনও কর্মসূচি নেই। কিন্তু ক’দিন আগে নৌকা পথে যে ভাবে তিনি প্রয়াগরাজ থেকে বারাণসী গিয়েছেন, মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে পুজো দিয়েছেন, তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে রাহুলের পর প্রিয়ঙ্কাও কী ‘নরম হিন্দুত্ব’ করছেন? উত্তরপ্রদেশের জমিতে বিজেপিও এখন মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করেছে। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা যখন দেশভক্তির তাস খেলছেন, যোগী আদিত্যনাথ পুরোদমে মেরুকরণের রাজনীতি করছেন। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সমীকরণে সেটা দলকে সাহায্য করবে বলে মনে করছে বিজেপি।
সে কারণে প্রিয়ঙ্কার সফরের আগেই বিজেপির অস্বস্তি প্রকাশ্যে চলে আসছে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকারের একমাত্র সংখ্যালঘু মন্ত্রী মহসিন রাজা আজ প্রিয়ঙ্কার অযোধ্যা সফরকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এঁরা সব সাইবেরিয়ান পাখি। আবহাওয়া দেখে আসেন। প্রিয়ঙ্কা নিশ্চয়ই বাবরের অংশ খুঁজতে আসছেন। কিন্তু তাঁকে বলে দিতে চাই, বাবরের কোনও অংশ এখানে আর অবশিষ্ট নেই।’’ কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘বিজেপির এ ধরনের মন্তব্যের কোনও জবাব দেব না। আর কোনও ‘নরম হিন্দুত্ব’ করতে প্রিয়ঙ্কা অযোধ্যায় যাচ্ছেন না। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের ভার দেওয়া হয়েছে।’’ ৭ এপ্রিল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরে সভা করতে পারেন রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা। উত্তরপ্রদেশে পা রাখার আগেই আজ প্রিয়ঙ্কা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কামান দেগেছেন। শিক্ষামিত্রদের যে ভাবে বিজেপি রোজ অপমান করছে, কয়েকশো জন আত্মহত্যা করেছেন, যোগী সরকার তাঁদের লাঠিপেটা করছে— তার বিরুদ্ধে সরব হন প্রিয়ঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy