বিজেপির দুই: গোপী সুরেশ ও তুষার ভেল্লাপল্লি।
বিজেপির মেরুকরণের তাস এবং নরেন্দ্র মোদীর বিভাজনের রাজনীতির মোকাবিলা করতেই তিনি কেরলে গিয়ে প্রার্থী হচ্ছেন বলে যুক্তি দিচ্ছেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু কেরলে নির্বাচনের মরসুমে শবরীমালা-বিতর্ককে ফের চর্চায় নিয়ে আসছে গেরুয়া শিবির। এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বাধানিষেধের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।
কোঝিকোড় লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী প্রকাশ বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে শবরীমালা-কাণ্ডের জেরে। সুপ্রিম কোর্ট আয়াপ্পা দর্শনে মহিলাদের প্রবেশে ছাড়পত্র দেওয়ার পরে বিক্ষোভের সময়ে পুণ্যার্থীদের হেনস্থা করার অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি বাবুর। আদালতের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনার জন্য বাম শাসিত রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে দায়ী করে কোঝিকোড়ে ‘যাত্রা’ শুরু করেছে বিজেপি। সেই কর্মসূচি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। অর্থাৎ, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল কাল, বৃহস্পতিবার যখন ওয়েনাডে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবেন, সেই সময়ে পাশের কোঝিকোড়ে শবরী-যাত্রা চালিয়ে যাবে বিজেপি।
ওই ‘যাত্রা’য় যথারীতি বিজেপি নেতারা প্রচার চালাচ্ছেন, শবরীমালা মন্দিরের ‘পরম্পরা’ ভেঙে ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে। শবরীমালাকে ভোটের প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশিকা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কেরলের বিজেপি নেতাদের দাবি, কমিশনের এমন কোনও এক্তিয়ারই নেই! তাঁদের যুক্তি, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা পরবর্তী নির্বাচনে প্রচারের বিষয় হয়েছিল। তা হলে শবরীমালার পরম্পরা নিয়ে কথা বলা যাবে না কেন? বিজেপির কেরল রাজ্য সভাপতি ও আইনজীবী পি শ্রীধরন পিল্লাই বলছেন, ‘‘প্রকাশ বাবুকে আটক করার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশিই গোটা ঘটনার রাজনৈতিক মোকাবিলা করছি আমরা।’’ তাঁদের আরও দাবি, প্রার্থী আপাতত প্রচারে না থাকার বিশেষ প্রভাব ভোটে পড়বে না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপি মঙ্গলবারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ত্রিশূর লোকসভা আসনে প্রার্থী হবেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা অভিনেতা গোপী সুরেশ। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ওই আসনে লড়বেন এনডিএ-র শরিক ভারত ধর্ম জনসেনার (বিডিজেএস) তুষার ভেল্লাপল্লি। কিন্তু তুষারকে ওয়েনাডে রাহুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী করার পরে ত্রিশূর আসনটি বিজেপি নিয়ে নিয়েছে। এনডিএ-র তরফে এখন বিজেপি ১৫টি, জনসেনা চারটি এবং কেরল কংগ্রেস (টমাস) লড়বে একটি আসনে।
রাহুলের বিরুদ্ধে বামেদের কটাক্ষও অব্যাহত। প্রবীণ সিপিএম নেতা ভি এস অচ্যুতানন্দন সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, ‘‘আগু-পিছু না ভেবে কোনও কিছুর মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভ্যাসের জন্য ২০১১ সালে আমি রাহুল গাঁধীকে ‘আমুল বেবি’ বলেছিলাম। ওয়েনাডে দেখা গেল, ‘আমুল বেবি’র অভ্যাস বদলায়নি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy