মায়াবতী।—ফাইল চিত্র।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটে দাঁড়াবেন না তিনি। জানিয়ে দিলেন বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী। শেষ মুহূর্তে কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা খোলসা করেননি মায়াবতী। তবে নিজে না লড়লেও, দলীয় প্রার্থী এবং জোটসঙ্গী সমাজবাদী প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
বুধবার লখনউতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মায়াবতী। সেখানেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘চাইলেই লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারি আমি। তবে এই মুহূর্তে বিজেপির বিরুদ্ধে দলের অবস্থান বেশ মজবুত। তাই না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দল আমার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবে বলে নিশ্চিত আমি। পরে প্রয়োজন পড়লেযে কোনও আসন খালি করে ভোটে দাঁড়াতে পারি।’’
সবদিক খতিয়ে দেখে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান মায়াবতী। তবে কোন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল, তা সবিস্তার জানাননি। তবে তাঁর যুক্তি, ‘‘আমি লড়লে সকলে আমার কেন্দ্রে গিয়েই প্রচার করবেন। এতে বাকি আসনে প্রভাব পড়তে পারে। তাই দল এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
আরও পড়ুন: টিকিট না মেলায় বিদ্রোহ বিজেপিতে, উত্তর-পূর্বে দলত্যাগ ২৫ নেতা-মন্ত্রীর
আরও পড়ুন: গোয়া বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষায় জিতলেন বিজেপি জোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত
আগামী ১১ এপ্রিল থেকে সাতদফায় দেশের ৫৪৩ আসনে লোকসভা নির্বাচন। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশেই ৮০টি আসনে নির্বাচন। সেখানে বিজেপিকে রুখতে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোকদলের সঙ্গে জোট গড়েছিলেন মায়াবতী। ওই ৮০টি আসনের মধ্যে ৩৮টি আসনে লড়তে চলেছে তাঁর বহুজন সমাজ পার্টি। ৩৭টিতে সমাজবাদী পার্টি। তিনটি আসনে প্রার্থী দাঁড় করাবে রাষ্ট্রীয় লোকদল। তবে রাহুল গাঁধীর অমেঠি এবং সনিয়া গাঁধীর রায়বরেলির আসনদুটি খালি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে মায়াবতীর সিদ্ধান্তে হতবাক রাজনৈতিক মহল। মায়া অখিলেশের জোটের জন্য সাতটি আসন খালি রাখায় সম্প্রতি মায়বতীর তোপের মুখে পড়েছিল কংগ্রেস। মায়াবতীর সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি তারা। বিবৃতি দেননি মায়াবতীর জোটসঙ্গী অখিলেশ যাদবও।
(কী বললেন প্রধানমন্ত্রী, কী বলছে সংসদ- দেশের রাজধানীর খবর, রাজনীতির খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy