Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

আমি তো হিন্দু! বার্তা দিগ্বিজয়ের

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মন্তব্য, বিজেপির ডেরায় ভোট-ব্যাঙ্ক বাড়াতেই হয়তো নরম হিন্দুত্বের পথে হাঁটতে চাইছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩৫
Share: Save:

তিনি তো হিন্দু, শঙ্করাচার্যের ভক্ত, তা-ও কেন তাঁকে আরএসএস-বিরোধী, হিন্দু-বিরোধী বলা হচ্ছে? আজ সাংবাদিকদের সামনে এ প্রশ্ন তুললেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। অভিমান নাকি ভোট-কৌশল? ১৯৮৯ সাল থেকে বিজেপির গড় ভোপাল। ’৯৯ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত উমা ভারতীর কেন্দ্র ছিল। গত বার জেতেন বিজেপির অলোক সাঞ্জার। সেই ভোপাল থেকে এ বার লোকসভা ভোটে লড়বেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মন্তব্য, বিজেপির ডেরায় ভোট-ব্যাঙ্ক বাড়াতেই হয়তো নরম হিন্দুত্বের পথে হাঁটতে চাইছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। বরাবরই তাঁকে আরএসএস-এর সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি দিগ্বজয়কে ‘হিন্দু-বিরোধী’ বলে আক্রমণ করেছিল বিজেপি। আজ সাংবাদিকরা সেই প্রসঙ্গ তুলতেই দিগ্বিজয় বলেন, ‘‘আরএসএসয়ের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধিতা নেই। আরএসএস যদি হিন্দু সংগঠন হয়, দিগ্বিজয় সিংহও হিন্দু। তা হলে এই শত্রুতা কেন!’’

এখানেই থামেননি দিগ্বিজয়। বলেন, ‘‘আমি দ্বারকার শিষ্য। ১৯৮৩ থেকে জ্যোতিষ পীঠ শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতীর ভক্ত। আমি সেটা লোককে বলে বেড়াইনা, ভোটের প্রচারে ব্যবহার করি না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘রাজনীতি এমনিতেই বিভাজন তৈরি করে। ধর্মকে কখনওই রাজনীতির সঙ্গে জড়ানো উচিত নয়।’’ বিজেপির ‘কংগ্রেস-মুক্ত দেশ’ গড়ার ডাক নিয়েও দিগ্বিজয় বলেন, ‘‘এ তো হিটলারি চিন্তাধারা...। এর মানে তো বিরোধী থাকবে না দেশে। ওদের ওই চিন্তার বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি।’’ কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করলেও বিজেপি এখনও ভোপালে প্রার্থী ঘোষণা করেনি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE