Advertisement
E-Paper

ঘৃণা ভাষণ: যোগী-মায়াবতীকে নির্বাচন কমিশনের শাস্তি, নিষেধাজ্ঞা জারি প্রচারে

ভোটের মরসুমে রাজনীতিকদের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। তা নিয়ে সোমবার সকালেই নির্বাচন কমিশনকে তিরস্কার করে শীর্ষ আদালত।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:১৫
যোগী আদিত্যনাথ ও মায়াবতী। —ফাইল চিত্র।

যোগী আদিত্যনাথ ও মায়াবতী। —ফাইল চিত্র।

নিতান্ত সমাপতন কিনা বলা যায় না। তবে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে নেতাদের ঘৃণা-ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে নিষ্ক্রিয়তার জন্য তিরস্কৃত হল নির্বাচন কমিশন। আর এদিনই যোগী আদিত্যনাথ আর মায়াবতীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল তারা। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ঘৃণা-ভাষণের জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে প্রচারে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বসাল কমিশন।

১৬ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য যোগী আদিত্যনাথের প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। ওই একই সময় থেকে মায়াবতীর উপর নিষেধাজ্ঞা বসেছে ৪৮ ঘণ্টার। ওই নিষেধাজ্ঞা বলবত্ থাকাকালীন কোনও জনসভা ও পথসভা করতে পারবেন না তাঁরা। সাক্ষাত্কার দিতে পারবেন না সংবাদমাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না।

ভোটের মরসুমে রাজনীতিকদের ঘৃণা ভাষণ নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন হরপ্রীত মনসুখানি নামের এক প্রবাসী ভারতীয়। তাতে ধর্ম ও জাতি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের জন্য রাজনৈতিক দল ও নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানান তিনি। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার নির্বাচন কমিশনকে তিরস্কার করে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। না ঘুমিয়ে তাদের কর্তব্য পালন করার কথা বলে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: না ঘুমিয়ে কর্তব্য পালন করুন, রাজনীতিকদের বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য নিয়ে কমিশনকে বার্তা সুপ্রিম কোর্টের​

বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের জন্য যোগী আদিত্যনাথ এবং মায়াবতীর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে তাও জানতে চায় আদালত। কমিশন জানায়, তাদের ক্ষমতা সীমিত। বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের জন্য কাউকে নোটিস দিতে পারে তারা। চেয়ে পাঠাতে পারে জবাবদিহি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে বড় জোর অভিযোগ দায়ের করতে পারে। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি বাতিল করা বা প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল করার মতো ক্ষমতা তাদের হাতে নেই।

আরও পড়ুন: মৃত্যুর ১৫ বছর পরও বেঁচে আছেন বীরাপ্পন, ভীষণ ভাবে আছেন তামিলনাড়ুর ভোটেও

কিন্তু তাদের দাবি মানতে চাননি হরপ্রীত মনুসুখানির আইনজীবী। নির্বাচন কমিশনের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে এবং চাইলেই তা সঠিক ভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে বলে পাল্টা দাবি করেন তিনি। যার পর নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা পর্যালোচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সেই মতো মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিকে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেন। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই যোগী আদিত্যনাথ ও মায়াবতীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা বসায় নির্বাচন কমিশন।

(কী বললেন প্রধানমন্ত্রী, কী বলছে সংসদ- দেশের রাজধানীর খবর, রাজনীতির খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

Lok Sabha Election 2019 general-election-2019-national লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ Election Commission Mayawati Yogi Adityanath
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy