ছবি: এপি।
আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিত অনুকূল নয়। এই কারণে ত্রিপুরা-পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৮ এপ্রিলের পরিবর্তে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ হবে ২৩ এপ্রিল। রাজ্য প্রশাসন যে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি তা আজ স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। ওই সিদ্ধান্তের পর বিরোধীদের বক্তব্য, তাদের দাবিই মান্যতা পেল।
ত্রিপুরার রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্ত আজ জানান, গত ১১ এপ্রিল ত্রিপুরা-পশ্চিম আসনের ভোটগ্রহণ পর্বের সিসি ক্যামের ফুটেজ দেখে মোটেই সন্তুষ্ট নয় কমিশন। তার জেরে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি রাজীব সিংহকে কমিশন সরিয়ে দিয়েছে। তরণীকান্ত বলেন, ‘‘প্রিসাইডিং অফিসার রিপোর্ট দিয়েছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবেই হয়েছে। কিন্তু ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে।’’
গত ১১ এপ্রিল ভোটগ্রহণের পরই রাজ্যের বিরোধী দলগুলি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছিল। তারা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল। তাদের অভিযোগ, বহু জায়গায় ভোট যে ঠিক মতো হয়নি তা মুখ্য নির্বাচনী অফিসারও স্বীকার করেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কমিশনের আজকের সিদ্ধান্তের পর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস জানান, কমিশনের কাছে আগেই কয়েক জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশকের নামও ছিল। গৌতম বলেন, ‘‘পুরো আধাসামরিক বাহিনীকে ১১ এপ্রিল গায়েব করে দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের ওই কর্তা। এ দিনের নির্দেশে প্রমাণিত হল, আমরা ঠিক অভিযোগই করেছিলাম।’’ কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোৎকিশোর দেববর্মণ বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। ভোটদাতাদের অধিকার রক্ষায় ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।’’
ত্রিপুরা-পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রের ৪৬৪টি বুথে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবিতে বামফন্ট আজ আগরতলায় তিন ঘণ্টার গণঅবস্থানে বসে। সেখানে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন, ‘‘গণতন্ত্র হরণের চক্রান্ত চলছে। তা প্রতিহত করতে গিয়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।’’ কংগ্রেসের প্রদ্যোৎকিশোর বলেন, ‘‘কমিশন না পারলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া ছাড়া পথ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy