দিল্লির সাতটির মধ্যে ছ’টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। রাজধানীর রাজনীতিতে চর্চা, জোটের ব্যাপারে যে তারা ইতিবাচক, কংগ্রেসকে সেই বার্তা দিতে একটি আসন ছেড়ে রেখেছে অরবিন্দ কেজরীবালের দল।
সূত্রের খবর, বিরোধী নেতারা চাইছেন পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লিতে বিজেপি-বিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মেলাক কংগ্রেস। কারণ, পুলওয়ামা-কাণ্ডের পর প্রচারের রাশ অনেকটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি, আর্থিক সঙ্কটের মতো বিষয়গুলি আড়াল করতে চাইছেন তিনি। তাই শরদ পওয়ার থেকে চন্দ্রবাবু নায়ডুর মতো নেতাদের পরামর্শ, বিজেপিকে রুখতে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল এবং দিল্লিতে আপের সঙ্গে জোট করুক কংগ্রেস।
অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন বিরোধী নেতারা। বিরোধী শিবির সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজের মতো শহরের গরিব মানুষের জন্য কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প নিয়েও বিরোধী নেতার ঘরোয়া ভাবে আলোচনা করেছেন।
প্রথম থেকেই দিল্লিতে ‘হাত’ ধরতে আগ্রহী কেজরীবালের দল। আপ সূত্রের দাবি, দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে তিনটি আপ, তিনটি কংগ্রেস ও একটি আসন শত্রুঘ্ন সিন্হা বা যশোবন্ত সিন্হার মতো মোদী-বিরোধী কোনও নেতাকে ছাড়তে রাজি ছিল তারা। পরিবর্তে পঞ্জাবে গত বারে জয়ী চারটি ও চণ্ডীগড় আসনটি তাদের ছাড়ুক কংগ্রেস। কিন্তু পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ জোটে নারাজ। তাঁর যুক্তি, গত লোকসভা নির্বাচনে চারটি আসনে আপ জিতলেও , বর্তমানে ভগবৎ মান ছাড়া তিন সাংসদই আপ ছেড়েছেন। অমরেন্দ্রের আপত্তির কথা আপ-কে জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।
জোটের ব্যাপারে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসেও দ্বিমত রয়েছে। জোট-বিরোধীদের যুক্তি, দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরতে হলে আপের বিরুদ্ধেই লড়তে হবে। তাই আপ বিরোধিতা জারি থাকুক। জোটপন্থীদের যুক্তি, এখন বিজেপিকে হারানোই প্রথম লক্ষ্য। তাই বিজেপি-বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনাই কাম্য।