ওয়েনাডে রাহুলে গাঁধীর হয়ে প্রচারে বোন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। নিজস্ব চিত্র
দাদা এসে বলে গিয়েছিলেন, কেরলের সঙ্গে একাত্ম হতে চান। আরও এক ধাপ এগোলেন বোন। ওয়েনাডের মানুষের কাছে আর্জি জানালেন, দাদার খেয়াল রাখতে। তার পরে রওনা দিয়েছিলেন পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় নিহত সিআরপি জওয়ান ভি ভি বসন্তকুমারের বাড়ির পথে। মাওবাদী নাশকতার আশঙ্কায় প্রত্যন্ত সেই গ্রামে যাওয়া হয়নি দাদার। বোনও আটকে গেলেন প্রবল বৃষ্টির কারণে। তবে মাওবাদী সমস্যার সঙ্গে যে জায়গার নাম জড়িত, সেই বাইতিরিতে রাত্রিবাস করছেন তিনি।
প্রচারের শেষ ভাগে কান্নুর হয়ে শনিবার ওয়েনাডে এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তাঁকে দেখতে দু’ধারে ভিড় ভেঙে পড়েছিল। মানান্তাবাডির সভা হোক বা পুলপাল্লির কৃষক সমাবেশ, সর্বত্রই নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে নিশানা করেছেন প্রিয়ঙ্কা। সে ভূমিকা যদি রাজনীতিক প্রিয়ঙ্কার হয়ে থাকে, তা হলে রাহুল গাঁধীর বোন হিসেবে তাঁর অস্ত্র ছিল আবেগ। প্রিয়ঙ্কার কথায়, ‘‘ঠাকুরমা, বাবার মতো প্রিয়জনকে হিংসার বলি হতে হলে কারও কারও মনে পাল্টা হিংসা, ঘৃণার মনোভাব জন্ম নেয়। আমার দাদা সে রকম নয়। অবিচার, বৈষম্য দেখলে ও কখনও চুপ করে থাকে না। কথা দিচ্ছি, আপনাদের কোনও অমর্যাদা ও করবে না।’’ সেই সঙ্গেই জুড়ে দিয়েছেন আবেদন, ‘‘ওয়েনাডের কাছে দাদাকে দিয়ে গেলাম। আপনারাই দেখবেন ওঁকে।’’
পাঁচ বছর আগে মোদী-ঝড়ে লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও দক্ষিণ ভারতের ৬ রাজ্যে ১১২টি আসনের মধ্যে ২১টি জিতেছিল বিজেপি। এ বার ক্ষমতায় ফিরতে পূর্বের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতে নজর দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, বিজেপির সেই ছক রুখতেই কেরল থেকে প্রার্থী হয়েছেন স্বয়ং রাহুল। প্রথমে কংগ্রেস সভাপতি এবং পরে তাঁর বোন মিলিত ভাবে ওয়েনাডের সঙ্গে ‘হৃদয়ের সম্পর্ক’ গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। রাহুল যেমন উত্তর-দক্ষিণ ভারতের বিভাজন মোছার কথা বলে গিয়েছিলেন, প্রিয়ঙ্কা আবার তেমনই দক্ষিণের জনজাতি সংস্কৃতির প্রতি ইন্দিরার শ্রদ্ধার কথা উল্লেখ করেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এর সঙ্গেই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কর্নাটক ও তামিলনাড়ুর সীমানার কাছাকাছি জঙ্গলঘেরা পাহাড়ি জনপদে মাওবাদী উপদ্রবের কথা জেনেও সেখানে থাকতে চেয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। রাজ্যের কংগ্রেস নেতা অনিলকুমারের কথায়, ‘‘ওয়েনাডের মানুষের যা সমস্যা, তাঁরা যে ভাবে থাকেন, তার সঙ্গে মিলেমিশেই থাকতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।’’ তবে পরিস্থিতির প্রয়োজনে কোঝিকোড়ে অন্য একটি অতিথিশালাও প্রশাসন প্রস্তত রেখেছে প্রিয়ঙ্কার জন্য। কোঝিকোড় থেকে রবিবার দিল্লির উড়ান ধরার কথা প্রিয়ঙ্কার। আর সেখানে নেমেই ওয়েনাডে ঢোকার কর্মসূচি রয়েছে স্মৃতি ইরানির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy