Advertisement
E-Paper

মোদীর কাছে গেলে পত্নীত্যাগের ভয়, মায়ার খোঁচায় নিন্দা

মোদীর দাম্পত্য জীবনকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি মায়াবতী বলেছেন, কোনও মহিলাই যেন এমন ব্যক্তিকে ভোট না দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৯ ০১:৩১
ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

রাজস্থানের অলওয়ারে গণধর্ষণ কাণ্ডের জেরে তরজা শুরু হয়েছিল নরেন্দ্র মোদী এবং মায়াবতীর মধ্যে। আজ স্বর অনেকটা চড়িয়ে মোদীকে ব্যক্তিগত আক্রমণে করলেন বিএসপি নেত্রী। বললেন, যে তাঁর কাছে খবর এসেছে যে বিজেপির বিবাহিত মহিলা কর্মীরা তাদের স্বামীদের মোদীর কাছে গেলে ভয়ে থাকেন। ভয়টা কী? মায়াবতীর কথায়, ‘‘মোদীর কাছে গেলে স্বামীরাও তাঁদের ত্যাগ করতে পারেন।’’ এমন ব্যক্তিগত আক্রমণের জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বিজেপি শিবিরে। অরুণ জেটলি টুইট করেছেন, ‘‘মায়াবতী রাজনীতিতে থাকার যোগ্যই নন।

অভিযোগ ছিল, অলওয়ারে দলিত মহিলার ধর্ষণের ঘটনায় পদক্ষেপ করতে বিলম্ব করেছে। বিষয়টি সামনে চলে আসায় মায়াবতী এবং মোদী দু’জনেই সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করেন। কিন্তু এই বিতর্কে মায়াবতীর অস্বস্তিই বেশি। রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকারকে সমর্থন জোগাচ্ছে তাঁর দল। ফলে বিষয়টি নিয়ে মায়া-মোদীর সংঘাত প্রায় অনিবার্যই ছিল। গত কালই পারস্পরিক চাপানউতোর শুরু হয় এ নিয়ে। মোদী প্রশ্ন তোলেন, মায়া কেন ওই সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নিচ্ছেন না! তার জবাব দিতে গিয়ে মায়াবতী আজ এমন ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমে পড়লেন যে, এমনটা স্মরণকালের মধ্যে তিনি কতরেছেন বলে মনে করতে পারছেন না দলের লোকেরাই। নিজে স্ত্রীকে ত্যাগ করেছেন বলে দলের অন্য পুরুষদেরও সে কাজে প্ররোচিত করতে পারেন এবং বিজেপির বিবাহিত মহিলারা এ নিয়ে ভয়ে আছেন— এমন সব তথ্য মায়াবতী কোথা থেকে পেলেন তা উল্লেখ করেননি। শুধু ‘আমার কাছে খবর আছে’ বলেই দায় সেরেছেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মোদীর দাম্পত্য জীবনকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি মায়াবতী বলেছেন, কোনও মহিলাই যেন এমন ব্যক্তিকে ভোট না দেন। তাঁর কথায়, ‘‘যে ব্যক্তি রাজনৈতিক ফায়দার জন্য নিজের নিরাপরাধ স্ত্রীকে ত্যাগ করতে পারেন, তিনি কী ভাবেই বা কোনও মহিলাকে সম্মান করবেন। কী ভাবেই বা অন্য মা-বোনদের সম্মানের কথা বুঝবেন?’’

এর পরই আসরে নামেন জেটলি। টুইটে তিনি বলেন, ‘‘উনি প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন! অথচ তাঁর প্রশাসন, নীতিবোধ এবং কথাবার্তা সর্বনিম্ন মানে পৌঁছে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিগত আক্রমণেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে তিনি রাজনৈতিক জীবনে থাকার অযোগ্য।’’ সঙ্গে জেটলির প্রশ্ন, ‘‘তথাকথিত বাম উদারপন্থীরা চুপ কেন?”

Lok Sabha Election 2019 Narendra Modi লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ Mayawati
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy