Advertisement
E-Paper

কুকথা ছাড়ার বার্তা গডকড়ীর

গডকড়ীর এই উপদেশ যেমন সংবাদমাধ্যমের প্রতি,  যেমন বিরোধী দলের প্রতি, তেমনই নিজের দলের প্রতিও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৯ ০৩:১৭
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

ফের নিতিন গডকড়ী। ঠিক দু’সপ্তাহের মাথায় ভোটের ফল প্রকাশ হচ্ছে। দিল্লির বিজেপি দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে আজ নিতিন গডকড়ী খোলাখুলি আবেদন করলেন, ‘‘কুকথার তরজা ছেড়ে সকলে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে পারি না?’’

গডকড়ীর এই উপদেশ যেমন সংবাদমাধ্যমের প্রতি, যেমন বিরোধী দলের প্রতি, তেমনই নিজের দলের প্রতিও। সাফ বললেন, ‘‘কে মোদীকে কত গালি দিল আর তার পাল্টা কী হল— এই আলোচনা ছেড়ে দুনিয়ার সবথেকে বড় গণতন্ত্রে গুণগত মান আনতে পারি তো সকলে! আসুন না, উন্নয়ন নিয়ে কথা বলি। কৃষি, অর্থনীতি, প্রশাসন নিয়ে কথা বলি। তর্ক করি!’’ এর পরেই এত দিন কী কী কাজ করেছেন, তার আংশিক ফিরিস্তি দিলেন আর আক্ষেপ করে বললেন, ‘‘জানি, এ সবের কিছুই প্রকাশিত ও প্রচারিত হবে না।’’

গত বছরের শেষে তিন রাজ্যে বিজেপির হারের পর থেকেই গডকড়ীর একের পর এক মন্তব্য নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। একবার তিনি বলেন, ‘‘আমি সভাপতি হলে হারের দায় নিতাম।’’ আর একবার বলেন, ‘‘স্বপ্ন দেখানোর নেতাকে ভাল লাগে। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ না হলে জনতাই তাঁকে পেটায়।’’ আবার কখনও বলেন, ‘‘শুধু ভাল বক্তা হলেই ভোটে জেতা যায় না। যিনি ভাবেন সব জানেন, তিনি ভুল।’’ প্রতিটি মন্তব্যের সময়েই বিরোধী নেতারা বলেছিলেন, নির্বাচনে বিজেপির আসন কমে গেলে তাদের শরিকরাই মোদীর বদলে গডকড়ীর মতো কোনও নেতাকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য চাপ দিতে পারে। সে কারণেই নিজের জায়গা তৈরি করছেন আরএসএসের আশীর্বাদধন্য নেতাটি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

গডকড়ী প্রতিবারই দাবি করেন, তাঁর মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। আজও আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হবেন মোদীই। সম্মেলনের আগে মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের কুকথার তালিকা বিজেপি তুলে দিয়েছিল গডকড়ীর হাতে। তাদের হিসেবে যে সংখ্যাটা এখন দাঁড়িয়েছে ৫৬। গডকড়ী বললেন, ‘‘৫৬ ভোগের মতোই ৫৬ গালি!’’ কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভোট প্রচারের অভিমুখ যে দিকে গড়াচ্ছে, তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত অসন্তোষ চেপেও রাখতে পারলেন না।

গডকড়ী যে আবেদন করলেন, সে কথা রোজ কংগ্রেসও বলে আসছে। স্যাম পিত্রোদা যেমন বলেন, ‘‘আমরা তো গোড়া থেকে বলছি, ভোট হোক পাঁচ বছরের কাজের ভিত্তিতে। ত্রিশ বছরের পুরনো কথা তুলে কী লাভ?’’ কংগ্রেসের প্রশ্ন, কুকথা শুরু করেছেন কে? রাজীব গাঁধী, নেহরু, ইন্দিরার কথা তুলছেন কে? রাহুলও আজও মোদীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘রাজীব গাঁধীর কথা বলার হলে বলুন, মন খুলে বলুন। কিন্তু জনতাকে বোঝান, রাফাল মামলায় কী করেছেন? যে যুবকদের রোজগারের প্রতিশ্রুতি দিয়েও রক্ষা করেননি, তাঁদেরও বোঝান।’’

Lok Sabha Election 2019 লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ Nitin Gadkari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy