দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী শীলা দীক্ষিত। ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কোনও সমঝোতায় যেতে রাজি নয় কংগ্রেস। আজ রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক শেষে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী শীলা দীক্ষিত এ কথা জানিয়ে বলেন, কংগ্রেস সভাপতিও এই প্রস্তাবে একমত।
গত সপ্তাহে দিল্লির সাতটির মধ্যে ছ’টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার প্রশ্নে ইতিবাচক ছিলেন আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল। আপের সঙ্গে জোট করা নিয়ে রাহুলের উপরে চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং শরদ পওয়ারের চাপও ছিল। সিদ্ধান্ত নিতে আজ দিল্লির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাহুল। তার পরেই ঘরোয়া বার্তায় আপ নেতৃত্ব দাবি করেন, বৈঠক শেষেই জোট ঘোষণা হবে দিল্লিতে। কিন্তু শেষে কংগ্রেস পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ কেজরীবাল পাল্টা আক্রমণে নামেন। তিনি বলেন, ‘‘গোটা দেশ যখন মোদী-শাহকে হারাতে তৎপর, তখন ভোট ভাগ করে বিজেপির সুবিধেই করে দিচ্ছে কংগ্রেস। দু’দলের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া হয়েছে বলে গুঞ্জন।’’
শীলাদের দাবি, দিল্লিতে চার বছরের শাসনের শেষে আপের ভোট ব্যাঙ্কে বড়সড় ধস নেমেছে। ভোটারদের যে অংশ কংগ্রেস ছেড়ে আপের দিকে ঝুঁকেছিলেন, তাঁরা আবার কংগ্রেসের দিকে ফিরতে শুরু করেছেন। তাই অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই জোট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কেজরীবাল। শীলার ওই যুক্তিকে কংগ্রেসের অধিকাংশ নেতা সমর্থন করলেও প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অজয় মাকেন কেজরীবালের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করেন। আপ-কংগ্রেস জোট সম্ভাবনা ভেস্তে যাওয়ায় খুশি বিজেপি। দলের বক্তব্য, ত্রিমুখী লড়াই হলে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হবে। লাভ হবে তাদেরই।
তবে কংগ্রেসের একটি সূত্রের দাবি, রাজনীতিতে পূর্ণচ্ছেদ হয় না। আজ শীলা জোটের বিপক্ষে মত দিলেও দর কষাকষির রাস্তা খোলা রয়েছে। একেবারে বন্ধ হয়নি। ঠিক যে ভাবে উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি জোট হলেও কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তা খোলা রাখতে চাইছেন অখিলেশ যাদব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy