লালকৃষ্ণ আডবাণী
আমন্ত্রিত ছিলেন না। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তাই দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির সদর দফতরে সশরীরে অনুপস্থিত লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশীরা। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের গলায় কাঁটা হয়ে বিঁধে রইলেন তাঁরাই।
দু’দিন আগে বিজেপির এই প্রতিষ্ঠা দিবসকে উপলক্ষ করেই ব্লগ লিখে আডবাণী কার্যত মোদী-শাহকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, রাজনৈতিক বিরোধী মানেই দেশদ্রোহী নয়। রাজনৈতিক বিপক্ষ মানে শত্রু নয়। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করার দায়িত্বও স্মরণ করিয়েছিলেন তিনি।
আজ আডবাণীর সেই ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই ফের বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করলেন রাহুল গাঁধী, মায়াবতীরা। আডবাণী-জোশীর মতোই ‘ক্ষুব্ধ’ আর এক প্রবীণ নেতা শান্তাকুমার প্রশ্ন তুললেন, কেন ৭৫ বছর বয়সের মাপকাঠিতে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করা হবে? হিমাচলের ধর্মশালায় সাংবাদিক সম্মেলন করে শান্তাকুমার বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, বয়স বিচার্য বিষয় হতেই পারে। কিন্তু ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেটাই একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না।’’ এই ৭৫ বছর বয়সের মাপকাঠিকে সামনে রেখেই এ বারের লোকসভায় আডবাণী, জোশী, সুমিত্রা মহাজনদের প্রার্থী করেনি বিজেপি। কংগ্রেসে যোগ দিয়ে শত্রুঘ্নও বিজেপিতে প্রবীণদের করুণ অবস্থা নিয়ে মোদী-শাহর সমালোচনা করেছেন।
নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ দু’জনেই ভোটের প্রচারে দিল্লির বাইরে। আডবাণীর ব্লগে বিদ্ধ হয়ে মোদী দাবি করেছিলেন, আডবাণী দলের সকলের কথাই বলেছেন। আজ ওড়িশায় প্রচারে গিয়েও মোদী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে আডবাণী, জোশীর মতো প্রবীণ নেতাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেছেন। দিল্লিতে বিজেপির দফতরে অনুষ্ঠানে অরুণ জেটলি বলেন, ‘‘১৯৮০-তে আজকের দিনেই অটলজি ও আডবাণীজির নেতৃত্বে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কিন্তু তাতে বিরোধীদের নিশানা ভোঁতা করা যায়নি। বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর মন্তব্য, আডবাণী বিজেপি নেতৃত্বকে বাস্তবের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ক’দিন আগে মহারাষ্ট্রের একটি জনসভায় বলেছিলেন, ‘‘মোদী হিন্দু ধর্মের কথা বলেন। হিন্দু ধর্মে সব থেকে জরুরি গুরু। আডবাণীজি মোদীর গুরু। ওঁর অবস্থা দেখেছেন আপনারা? আডবাণীজিকে স্টেজ থেকে লাথি মেরে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে!’’
কিন্তু রাহুল গাঁধীর এই ভাষার সমালোচনা করেছে বিজেপি। সুষমা স্বরাজ থেকে পীযূষ গয়ালের অভিযোগ, রাহুল আডবাণী সম্পর্কে যে সব মন্তব্য করছেন, তাতে উনি নিজেই আডবাণীকে অপমান করছেন। সুষমার মন্তব্য, ‘‘আডবাণী আমাদের পিতৃতুল্য। রাহুলজির ভাষা আমাদের আঘাত করেছে। যা খুশি বলে দেওয়ার একটা সীমা থাকা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy