রাজীব শুক্ল। ফাইল চিত্র।
তিন দফার ভোট বাকি। নরেন্দ্র মোদীর হাতে মাসুদ-তাস। দেশভক্তির স্লোগানে আরও শান দিয়ে আসরে নামল মোদী-ব্রিগেড। সন্ত্রাসদমনে মোদী জমানায় ঠিক কী কাজ হয়েছে, তা বোঝাতে পাল্টা পরিসংখ্যান দিল কংগ্রেসও।
রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তালিকায় মাসুদ আজহারের নাম ওঠায় সাফল্য জাহির করার কাজটি গত কাল থেকে শুরু করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। জয়পুরের জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘এ তো সবে শুরু, আগে দেখুন কী হয়! এটাই ‘নতুন ভারত’-এর হুঙ্কার।’’ মনমোহন সিংহ থেকে বহু বিরোধী নেতাই মাসুদ-সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানান। কিন্তু ভোট-বাজারে কৃতিত্বের পুরোটাই নিজের ঝুলিতে পুরে বিরোধীদের তোপ দাগতে আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকেও নামালেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী গতকালই মনমোহনকে বিঁধে শুনিয়েছিলেন, ইউপিএ সরকারে ‘রিমোট কন্ট্রোলড’ প্রধানমন্ত্রী যে হিম্মত দেখাতে পারেননি, তা তিনি দেখিয়েছেন। গোটা বিশ্বকে ভারতের কথা মানতে হল। রাহুল গাঁধী গতকালই টুইট করে মোদীকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘পুলওয়ামা, পাঠানকোট, উরি আর ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী হামলার মতো ঘটনা মোদীর আমলেই ঘটেছে। তা সত্ত্বেও এত বোমার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী।’ জেটলিরা আজ কংগ্রেসকে বিঁধেই বলেন, ‘‘দেশের এই বিরাট সাফল্যে বিরোধী দলগুলি আনন্দ পাচ্ছে না। পাছে রাজনৈতিক খেসারত দিতে হয়।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মোদী-শিবিরের এই ‘আস্ফালন’ দেখে আজ রাজীব শুক্লকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পাঠায় কংগ্রেস। রাজীব প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এই প্রথম বার কোনও সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকাভুক্ত হল না কি? হাফিজ সইদ, জকিউর রহমান লকভি, হাজি মহম্মদ আশরফ, মহম্মদ আহমেদ বহজি এর আগে এই তালিকাভুক্ত হয়েছে। আর মাসুদকে মুক্ত কারা করেছিল? বিজেপিই। অথচ তাকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সন্ত্রাসবাদী তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের জমানায়। তখন তো কেউ এমন ঢাক পেটায়নি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy