Advertisement
E-Paper

বারাণসীতে প্রিয়ঙ্কাই কি, রহস্য এখনও

ক’দিন আগেই রাহুলের কেন্দ্রে প্রচারের সময় প্রিয়ঙ্কাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “আপনি কি বারাণসী থেকে লড়বেন?”  জবাবে প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন,  “আপনারা জানতে পারবেন। যদি কংগ্রেস সভাপতি লড়তে বলেন, তা হলে খুশি হয়ে লড়ব।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪২
‘হাত’ জোড়: উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে প্রচার প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার। বুধবার। পিটিআই

‘হাত’ জোড়: উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে প্রচার প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার। বুধবার। পিটিআই

বারাণসীতে নিজের মনোনয়ন পেশের জন্য কালই পৌঁছে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা প্রার্থী হবেন কি না, সে তাসটা এখনও খোলেননি রাহুল গাঁধী। তাঁর বক্তব্য, কী হতে চলেছে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েই গিয়েছে। কিন্তু ‘রহস্য’টা জিইয়ে রাখতে চাইছেন তিনি।

সিদ্ধান্তটা কী হতে পারে? কংগ্রেসের শীর্ষ সূত্র বলছে, বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে উদগ্রীব প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু রাহুল নিজে তেমন উৎসাহী নন।

ক’দিন আগেই রাহুলের কেন্দ্রে প্রচারের সময় প্রিয়ঙ্কাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “আপনি কি বারাণসী থেকে লড়বেন?” জবাবে প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, “আপনারা জানতে পারবেন। যদি কংগ্রেস সভাপতি লড়তে বলেন, তা হলে খুশি হয়ে লড়ব।” কংগ্রেসের নেতা অহমেদ পটেলের বক্তব্য, “প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, কংগ্রেস সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তিনি যদি বারাণসী থেকে লড়েন, ব্যক্তিগত ভাবে আমি খুশি হব।”

বারাণসীতে ভোট একেবারে শেষ দফায় হলেও তার জন্য মনোনয়ন পেশের শেষ দিন ২৯ এপ্রিল। কংগ্রেসের শীর্ষ সূত্রের মতে, প্রিয়ঙ্কাকে মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে মূলত গাঁধী পরিবারই। আর খোদ সেখানেই, অর্থাৎ পরিবারেই এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। মোদীকে টক্কর দিয়ে গোটা
পূর্বাঞ্চলে কর্মীদের চাঙ্গা করতে চান প্রিয়ঙ্কা নিজে। কারণ, রাহুল তাঁকে ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা জয়ের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন। কর্মীরা একবার চাঙ্গা হলে তার প্রভাব শুধু লোকসভা নয়, বিধানসভাতেও পড়বে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

অন্য দিকে কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, রাহুল এও মনে করেন, নেহরু থেকে ইন্দিরা জমানা পর্যন্ত প্রতিপক্ষের বড় নেতাকে জোর করে হারানোর চেষ্টা করার প্রথা নেই কংগ্রেসে। রাজীব গাঁধী অবশ্য একবার ব্যতিক্রম ঘটিয়েছিলেন। ’৮৪ সালে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমবতী নন্দন বহুগুণার বিরুদ্ধে ইলাহাবাদ কেন্দ্র থেকে অমিতাভ বচ্চনকে প্রার্থী করেছিলেন। অমিতাভ প্রায় দু’লক্ষের কাছাকাছি ভোটের ব্যবধানে জিতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর আর সে পথে হাঁটেননি রাজীব। রাহুলের মতেও, মোদীর বিরুদ্ধে লড়ার বদলে অন্য কোনও আসনে জিতে সংসদে আসা শ্রেয়।

কংগ্রেসের ওই নেতা বলছিলেন, “এমনিতেই রাহুল অমেঠীর পাশাপাশি কেরলের ওয়েনাড থেকে লড়ছেন। দুটি আসনেই জেতার পর তাঁকে একটি ছাড়তে হবে। খুব সম্ভবত অমেঠীই ছাড়বেন তিনি। সেখান থেকেও লড়তে পারেন প্রিয়ঙ্কা। আর বারাণসী থেকে প্রিয়ঙ্কার লড়ার বিষয়টি এখন সনিয়া গাঁধীর হাতে। তিনিই শেষ কথা বলবেন।”

এরই মধ্যে রাহুল আজ এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কার বারাণসী থেকে লড়ার বিষয়ে বলেন, “প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ছিল, দল নিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আমরা সেই নিয়ে রহস্য জিইয়ে রাখতে চাই।”

বিজেপি নেতারাও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চালু রেখেছেন। তাঁরা বলছেন, বারাণসী থেকে মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কা প্রার্থী হলে রাহুলের গুরুত্ব কমবে। তাই নিয়ে চিন্তায় সনিয়া গাঁধী। চার দফার ভোট এখনও বাকি। রাহুলের বদলে লড়াইটি ‘মোদী বনাম প্রিয়ঙ্কা’ হলে তা অস্বস্তির কারণ হবে গাঁধী পরিবারের কাছে। আবার বারাণসী থেকে প্রিয়ঙ্কা হেরে গেলেও তাঁর রাজনৈতিক জীবনের গোড়াতেই ধাক্কা লাগবে।

নরেন্দ্র মোদী অবশ্য বারাণসীতে কালই পৌঁছে যাচ্ছেন। কালভৈরব মন্দিরে পুজো দেবেন। রোড-শোও করতে পারেন তিনি। পরশু মনোনয়ন পেশের জন্য নীতীশ কুমার, উদ্ধব ঠাকরে, প্রকাশ সিংহ বাদল, রামবিলাস পাসোয়ানের মতো এনডিএ নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিজেপি সভাপতি অমিত
শাহ বলছেন, “শ্রীমতি বঢরা যদি বারাণসী থেকে লড়তে চান, লড়ুন না। এত ইশারা করার কী আছে?”

Varanasi Narendra Modi Priyanka Gandhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy