উত্তাল সংসদ। ছবি: পিটিআই।
কোনও পক্ষই একে অপরকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ। কংগ্রেস যখন সুষমা-শিবরাজদের ইস্তফার দাবিতে অনড়, তখন রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস এনে পাল্টা আক্রমণের রাস্তাই নিল বিজেপি নেতৃত্ব। এবং এই ধুন্ধুমার লড়াইয়ে ফের এক বার ভন্ডুল হল সংসদের কাজকর্ম।
প্রথম দু’দিন কোনও কাজ হয়নি। তৃতীয় দিনের শুরুতেও পরিস্থিতির বিশেষ বদল হল না। ব্যপম কাণ্ড থেকে শুরু করে সুষমা স্বরাজ, বসুন্ধরা রাজে, শিবরাজ সিংহদের পদত্যাগের বিরোধীদের দাবিতে ফের এক বার উত্তাল হয়ে উঠল সংসদের দুই কক্ষ। সাংসদদের তুমুল হৈ হট্টগালে সারা দিনের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয় লোকসভার অধিবেশন। দুপুর দু’টো পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার অধিবেশনও।
এ দিন লোকসভার অধিবেশন শুরু হতেই সুষমাদের পদত্যাগের দাবি তোলে কংগ্রেস। রাহুল গাধীঁর নেতৃত্বে মুখে কালো কাপড় বেঁধে সংসদে বিক্ষোভে দেখাতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে কংগ্রেস সহ সভাপতি বলেন, “মানুষের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যপমের মতো দুর্নীতিতে কী করে নীরব থাকতে পারেন তিনি?” তাঁর আক্রমণের হাত থেকে পার পেলেন না বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও। তাঁকে অপরাধী আখ্যা দিয়ে রাহুল বলেন, “এক অপরাধীকে সাহায্য করে আরও বড় অপরাধ করেছেন সুষমা। অপরাধীদের সাহায্য করলে আইন অনুযায়ী কারাবাস হওয়া উচিত।”
বিজেপির তরফে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও পদত্যাগের আগে কোনও রকম আলোচনা করতে রাজি নয় কংগ্রেস। দলের অবস্থান স্পষ্ট করে কংগ্রেস নেতা সচিন পায়লট বলেন, “অভিযুক্তদের পদত্যাগের আগে কোনও আলোচনা নয়। আগে পদত্যাগ, পরে আলোচনা। সংসদের কাজ ঠিক মতো চালানো সরকারের দায়িত্ব। আর বিজেপি নেতারা বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন, বিরোধী আসনে বসলে তাঁরা কেমন ব্যবহার করেন।”
তবে বিরোধীদের চাপের মুখে যে নতি স্বীকার করা হবে না তা ফের এক বার জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা বেঙ্কাইয়া নাইড়ু বলেন, “বিরোধীরা শুধু হট্টগোল করতেই চাইছে। আলোচনা না করে সংসদ্রে কাজ পণ্ড করাই এখন এঁদের মূল লক্ষ্য। তবে পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy